কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে। আহত বহু। প্রতিদিনই পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলছে বাংলাদেশে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। জায়গায় জায়গায় চলছে কারফিউ। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। এবার এই পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলল রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান ভলকার টার্ক বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ছাত্রদের উপর হামলা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এই ধরনের হামলাকে বিস্ময়কর বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
ভলকার টার্ক আরও বলেন আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের উপর কারা হামলা চালাল, তা খুঁজে বের করা প্রয়োজন। এর জন্য নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। যাঁরা দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বাংলাদেশ নিয়ে এই প্রথম রাষ্ট্রপুঞ্জের কেউ মন্তব্য করলেন। ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করে অবিলম্বে ছাত্রদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য হাসিনার সরকারকে বার্তাও দেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান ভলকার টার্ক। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের সরকারের উদ্দেশে টার্কের বার্তা, এভাবে ছাত্রদের ওপর আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না। তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে বাংলাদেশে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় ছাত্রবিক্ষোভ। পুলিশের গুলিতে ছয় জন পড়ুয়ার মৃত্যুও হয়। এরপরই বাংলাদেশের নানা প্রান্তে আগুন জ্বলে ওঠে। প্রায় প্রতিদিনই পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। সীমিত সময়ের জন্য কোথাও কোথাও পরিষেবা ফেরানো হচ্ছে। অনিয়মিত মোবাইল সার্ভিসও। আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে দেশজুড়ে নজিরবিহীনভাবে বন্ধ করা হয়েছে ট্রেন চলাচল। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসেনি। উল্টে শুক্রবার বাংলাদেশের জেলে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।
Discussion about this post