প্রচারে ঝড় তুলেও লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে বামেদের ভরাডুবি। একটা আসনও নিজেদের দখলে আনতে পারেনি তারা। সিপিএম-র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম থেকে বর্ষিয়ান নেতা সুজন চক্রবর্তী, ব্যর্থ সকলেই। মাটি কামড়ে পড়ে থেকেও হার মানতে হয়েছে তরুণ তুর্কি সৃজন ভট্টাচার্য, দীপ্সিতা ধরকে। শিকে ছেঁড়েনি প্রতীকুর, সায়নদেরও। সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘বিজেপিকে হারাতে বাংলার মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। আর তৃণমূলকে হারাতে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন।’’ আবার সেলিমের বক্তব্য, বামেরা শূন্য বলে নেতিবাচক ধারণা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক খানিকটা খেদ নিয়েই বলেন, ছাত্র-যুবদের একটা অংশ ফেসবুকে তাতেই গা ভাসিয়ে দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘কেউ বলছেন আমরা শূন্য, কেউ নামের আগে লিখছেন হার্মাদ।
এগুলো কোনও কাজের কথা নয়। অতি উৎসাহের ফল।’’ তবে, সংসদীয় রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলেও হাল ছাড়তে নারাজ বামেরা। মানুষের রায় মেনে হার স্বীকার করলেও আগামীদিনের জন্য নিজেদের তৈরি করছেন বাম নেতৃত্ব। সংগঠন পোক্ত করতেও মরিয়া লাল শিবির। রাজ্যের জেলায় জেলায় কর্মী সভার আয়োজন করা হচ্ছে বাম ছাত্র সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর পক্ষ থেকে। তৃণমূল স্তরে কর্মীদের এক করতে কোনও কসুর করছেন না যুব নেত্রী তথা ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ডিওয়াইএফআই -র মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির উদ্যোগে এদিন একটি যুব কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হলো বহরমপুরে। এ বিষয় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সাফ বার্তা, ‘লড়াইয়ের ময়দান থেকে আমরা সরছি না’। পাশাপাশি তিনি জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এই ধরনের কর্মীসভার আয়োজন করা হচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে এই সভা ধারাবাহিক ভাবেই করা হয়ে থাকে। কর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করে আগামী দিনের দিশা ঠিক করা হবে বলেও জানান মীনাক্ষী।
প্রসঙ্গত, বহরমপুর শহরের রবীন্দ্র সদনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। মীনাক্ষীর পাশাপাশি এই সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা সহ জেলার অন্যান্য কর্মীরা।
Discussion about this post