১৭ টি পন্থায় এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। জানালো হাইকোর্ট। ২৮২ পাতার রায়ে তার সব কটাই সবিস্তারের উল্লেখ করল ২ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
কেউ বলছেন মামলার রায় ত্রুটিপূর্ণ। কেউবা বলছেন সম্পূর্ণ বেআইনি। কেউ প্রশ্ন তুলছেন তাহলে যোগ্যদের কি ভাবে। সোমবার এসএসসির মামলার রায় নিয়ে নানা মুনির নানা মত। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির রায়ে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষাকর্মী। ২৮২ পাতার এই রায়ে শিক্ষাকর্মীদের পাশাপাশি গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদেরও চাকরি গিয়েছে। রায় ঘোষণা কালে বিচারপতি বসাকের মন্তব্য ছিল, ‘এছাড়া কোন উপায় ছিল না’।
রাজ্যের উচ্চ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হবেন। ইতিমধ্যেই তা স্পষ্ট করেছেন রাজ্যের এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। এই রায়ের বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। কোন রাখঢাক না রেখেই জনসভা থেকে বাংলার দিদির দাবি এটি রাজনীতির বিচারালয়। অর্থাৎ বিচারের রায় নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন না তুললেও আদালতের রায়ে রাজনীতির প্রভাব দেখছেন মমতা। তবে এই সবের মাঝে আদালত জানিয়েছে ১৭ টি পন্থায় দুর্নীতি হয়েছে। এগুলি কি কি, একবার দেখে নেব
১৭ টি পন্থায় দুর্নীতি
১. ওএমআর শিট স্ক্যান ও মূল্যায়নের জন্য ‘নাইসা’ নামের একটি সংস্থাকে এসএসসি বরাত দিয়েছিল। তাদের টেন্ডার দেওয়া হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এমন পদক্ষেপ সংবিধানের ১৪ ও ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে।
২. নাইসা আবার অন্য একটি সংস্থাকে এই স্ক্যানের কাজ করতে দেয়।
৩. এসএসসি দফতরে ওএমআর শিট স্ক্যান করে ওই সংস্থা। অথচ এসএসসি ওই সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়নি।
৪. ওএমআর শিটের আসল কপি এসএসসি নষ্ট করে দেয়। সে ক্ষেত্রে ওএমআর শিটের ‘মিরর ইমেজ’ এসএসসির সার্ভারে সংরক্ষিত থাকার কথা।
৫. সিবিআই কিন্তু এসএসসির সার্ভার থেকে ওই ধরনের কোনও ‘মিরর ইমেজ’ খুঁজে পায়নি।
৬. সিবিআইয়ের দাবি, ওএমআর শিট স্ক্যান করে তার মিরর ইমেজ সংরক্ষণ না করেই আসল কপি নষ্ট করেছে এসএসসি।
৭. এসএসসি আবার তথ্য জানার অধিকার আইনে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আবেদনকারীদের স্ক্যান ওএমআর শিট দেখায়। এসএসসি জানায়, তাদের ডেটাবেস থেকেই ওগুলি দেওয়া হয়েছে।
৮. গ্রপ ডি, গ্রুপ সি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ— ওই চার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘোষিত শূন্যপদের থেকে বেশি প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে।
৯. প্যানেলে নাম নেই এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ করা হয়েছে।
১০. সাদা খাতা জমা দিয়ে অনেকে চাকরি পেয়েছেন।
১১. প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও চাকরি দেওয়া হয়েছে।
১২. কম নম্বর থাকা সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়েছে।
১৩. মেধাতালিকায় প্রার্থীদের নম্বর প্রকাশ করা হয়নি।
১৪. প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও কাউন্সেলিং চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
১৫. বেআইনি ভাবে কত জন চাকরি পেয়েছেন তা নিয়ে অস্পষ্ট অবস্থান রয়েছে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং রাজ্যের।
১৬. বেআইনি নিয়োগ আড়াল করতে সুপারনিউমেরিক পোস্ট তৈরি করে নিয়োগের জন্য এসএসসি আবেদন করে।
১৭. ওই চারটি বিভাগের কোনও ক্ষেত্রেই নিয়োগ পদ্ধতির কোনও রকমের নিয়ম মানা হয়নি।
ভোট চলাকালীন রাজ্যের উচ্চ আদালতের এই রায় আলাদাই মাত্রা জুড়েছে। রাজ্যের শাসকদলকে দুষিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন সকল বিরোধী দল। যদিও বিজেপির দাবি এই রায় ঐতিহাসিক
Discussion about this post