বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। বৈঠকের মূল আলোচ্য- ‘বিকশিত ভারত’। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে বৈঠক। নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতার যোগদানের পর, ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রীদের প্রায় সকলেই বয়কট নীতি আয়োগের বৈঠকে। এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মমতা। বৈঠকে যোগ দিতে যাবার আগে মমতা বলেন, ‘বাজেটের আগেই নীতি আয়োগের বৈঠকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সবাই মিলে আগে সিদ্ধান্ত নিলে, অন্যকিছু ভাবতাম।’ সংবাদ মাধ্যমের সামনে মমতার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার ‘বিমাতৃসুলভ’ আচরণ করছে।
বঞ্চনার শিকার বাংলা। তার প্রতিবাদ জানাতেই তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বৈঠকে যদি বাংলার হয়ে বলতে না দেওয়া হয় তবে বেরিয়ে আসবেন। বাজেট বৈষম্যর অভিযোগে কংগ্রেসের তিন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও তামিলনাড়ুর এমকে স্ট্যালিন এবং কেরলের পিনারাই বিজয়ন বৈঠকে যোগ দেয়নি। স্বাভাবিকভাবেই মমতার বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইন্ডিয়া জোটের একাংশ। এদিকে এদিন বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেন তিনি। বাইরে এসে তিনি বলেন, ‘‘আমাকে পাঁচ মিনিটও বলতে দেওয়া হয়নি। মাইক বন্ধ করে আমাকে অপমান করা হয়েছে”। নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করেছিলেন বিরোধী জোট ইন্ডিয়া জোটের সাত জন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে তারা বৈঠক বয়কট করেছেন বলে সূত্রের খবর। ইন্ডিয়া জোটের সাতজন মুখ্যমন্ত্রী এই নীতি আয়োগ বৈঠক বয়কট করলেও হাজির হয়েছিলেন মমতা। শনিবার সকালে রাইসিনা হিলে হাজির হয়েছিলেন তিনি। এদিন বৈঠক শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘অন্যদের ২০ মিনিটের বেশি বলার সুযোগ দেওয়া হলেও আমাকে পাঁচ মিনিটও বলতে দেওয়া হয়নি।
তার আগেই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই বঞ্চনার প্রতিবাদে আমি বৈঠক ছেড়ে চলে এসেছি”। তিনি আরও বলেন, ‘‘বিরোধীদের মধ্যে একমাত্র আমিই বৈঠকে হাজির ছিলাম। কিন্তু বলতে দেওয়া হল না। আমি আরও কিছু বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই মাইক বন্ধ করে অপমান করা হল”। ভবিষ্যতে নীতি আয়োগের আর কোনও বৈঠকে তিনি যোগদান করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
Discussion about this post