২০১৮ সালে রণবীর কাপুর অভিনীত সঞ্জু সিনেমাটি অনেকেই দেখেছেন। বলিউডের দাপুটে অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এই সিনেমায় তাঁর অস্থির জীবনের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। সেখানেই দেখানো হয়েছে সঞ্জয়ের অসংখ্য সম্পর্কের টানাপোড়েন। ওই সিনেমায় দেখানো হয়েছে, সঞ্জয়ের জীবনে বহু বান্ধবী ছিলেন, কিন্তু ঠিক কত বান্ধবী ছিলেন তা বলা হয়নি। পরে বিখ্যাত কপিল শর্মা শো-এর মঞ্চে সঞ্জয় দত্ত নিজেই জানিয়েছেন সেই সংখ্যা। জানলে আপনিও অবাক হবে, সঞ্জয়ের দাবি তাঁর জীবনে ৩০৮ জন বান্ধবী এসেছিলেন। তিনি খোলাখুলি স্বীকার করেছিলেন তাঁর অবাধ যৌনতা সম্পর্কেও।
আজ রুপোলী পর্দার মুন্নাভাই পা দিয়েছেন ৬৫ বছরে। জীবনের এই পর্যায়ে এসে তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে একজন গুণী সংসারী। কিন্তু এই সঞ্জয় দত্তই তাঁর জীবনে তিনবার ছাদনাতলায় গিয়েছেন। প্রেম করেছেন প্রায় ৩০৮ জনের সঙ্গে। এমনকি অবাধ যৌনতায় মাততেও পিছপা হননি বলিউডের মুন্নাভাই। আসলে তাঁর জীবনের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে অসংখ্য ঝড়। বলিউডের স্টারকিড হওয়ায় সঞ্জয় দত্ত প্রথম থেকেই ছিলেন টিনসেল টাউনে তাঁর অবাধ যাতায়াত। মুম্বইয়ের রঙিন দূনিয়ায় ভেসে যেতে তাই বেশি সময় লাগেনি সঞ্জয় দত্তের। ফলে বিতর্কও তাঁর পিছু ছাড়েনি কখনও। ব্যক্তিগত জীবনে যেমন উশৃঙ্খল, বাইরের জগতেও তেমন।
আসলে সঞ্জয় দত্ত বলিউডের দুই সফল এবং সুপারস্টার সুনীল দত্ত এবং নার্গিসের সন্তান। সেই কারণে তিনি সবসময়ই লাইমলাইটে থাকতেন। তার ওপর কিশোর বয়স থেকেই তাঁর আকর্ষণীয় চেহারা এবং ক্যারিশমা তাকে অসংখ্য একাধিক সম্পর্ক তৈরির অনুকুল পরিবেশ তৈরি করেছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুম্বইয়ের হাই প্রোফাইল পরিবারের বান্ধবীরা তাঁর আশেপাশে ঘুরপাক খেতেন। এই সময়ই তিনি মাদক সেবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়া, সেই থেকে মুম্বইয়ের অন্ধকার জগতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া সঞ্জয় দত্তের জীবনে অনেক ঝড় টেনে আনে। এমনকি তাঁকে জেলেও কাটাতে হয়েছে জীবনের কয়েকটা বছর।
বাবা সুনীল দত্ত তখন নামী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, তবুও সঞ্জয়ের কাছে একে-৬৫ রাইফেল পাওয়া যাওয়ায় গ্রেফতারি এড়ানো যায়নি। তবে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ভক্তরা দেখলেন একেবারেই পাল্টে গিয়েছেন সঞ্জুবাবা। ১৯৯৯ সাল তাঁর জীবনে একটা মাইলস্টোন হিসেবে দেখা দিয়েছিল। সেই বছর তাঁর পাঁচ-পাঁচটি সিনেমা সুপারহিট হয়। কার্তুজ, খুবসুরত, হাসিনা মান জায়েগি, দাগ-দ্য ফায়ার, বাস্তব-দ্য রিয়েলিটি এই পাঁচটি সিনেমা এক বছরেই হিট করে। পরে সঞ্জয় দত্ত অভিনীত মুন্নাভাই সিরিজের ছবিগুলিও তাঁর জীবনের মাইলস্টোন হিসেবে মান্যতা পায়। সঞ্জয় দত্ত, যিনি রিল লাইফে সবসময় অ্যাংরি ম্যানের অভিনয় করেই নাম কামিয়েছিলেন। সেই অ্যাংরি ম্যানের রিয়েল লাইফও কম যায়নি। শতাধিক প্রেম, যৌনতা তাঁর জীবনে এলেও বাস্তবে মুম্বইয়ের ডনদের সঙ্গে ওঠবোস, মদকাসক্ত হয়ে পড়া, জেলযাত্রাও কম চমকপ্রদ নয়। আপনাদের মনে পড়ে সেই বিখ্যাত গানটির কথা? যেখানে বড়পর্দায় সঞ্জয় দত্ত গাইছেন, “নায়ক নেহি, খলনায়ক হুঁ ম্যায়”।
Discussion about this post