সদ্য গ্রেপ্তার হয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান সহ ১২ জন সেনা সদস্য। যারা অভ্যুত্থান করার চেষ্টা করছিল। যাদের মধ্যে পাঁচজনই সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের বিরোধী। তাদের এই গ্রেফতারের ঘটনার পরই পিলখানায় ঘটে গিয়েছে একটি অগ্নিকাণ্ড। কিন্তু কি কারণেই অগ্নিকাণ্ড? পুরোটাই কি কাকতালীয়? উঠছে প্রশ্ন।
গত সোমবার পিলখানায় ঘটে যাওয়া অগ্নিসংযোগ এর ঘটনাকে চেপে রাখার চেষ্টা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। কিন্তু এরপর যখন দু এক জায়গায় খবরটি আস্তে আস্তে প্রকাশ্যে আসতে থাকে তখন বলা হয় শর্ট সার্কিট থেকেই এই ধরনের অগ্নিসংযোগ এর ঘটনা ঘটে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে নিজস্ব ফায়ার সিস্টেম থাকার কারণে একটা না আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত জ্বলতে থাকে পিলখানার নির্দিষ্ট ব্লকটি। যার ফলে পুরো ভূষ্মীভূত হয়ে যায় সেটি আর এর পরেই অগ্নি নির্বাপনের চেষ্টা করা হয় বলে খবর।
প্রকাশিত হওয়া খবর থেকে বাইরের পরিস্থিতি অনুধাবন করা গেলেও ভেতরে কি ঘটেছে তা জানা সম্ভব হয়নি। এছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া ১২ জন সেনা দের এখন কি পরিস্থিতি তাদের কপালে কি জুটেছে শেষমেষ সেটাও স্পষ্ট নয়।
এমনও মনে করা হচ্ছে ওই ১২ জন সদস্যকে বিল্ডিংয়ে ঢুকিয়ে দিয়ে জীবিত অবস্থায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েন তাদের লাশ গায়েব করে দেওয়া হতে পারে।
পাশাপাশি সেনাবাহিনীর পুরো কন্ট্রোল এখন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের হাতে। তিনি চাইলেই যেকোনো দিন তিনি পুরো ক্ষমতা দখল করে নিতে পারেন তবে এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর সেনাপ্রধান ক্ষমতা দখল করলে তার প্রধান ও প্রথম কাজ হবে মোহাম্মদ ইউনুস কে গ্রেফতার করা। এবং তাকে এবং তার উপদেষ্টা মন্ডলী সহ সমন্বয়ক যারা আছে তাদেরকে কাস্টাডিতে নেওয়া। এটাই তার প্রথম কাজ হবে কারণ দেশের নাগরিক তাকে অনেক ভুল বুঝেছেন।
৫ ই আগস্ট সেনাপ্রধানের যে ভূমিকা ছিল, সেটি কেন ছিল তা, কারোরই অজানা নয়। স্পষ্টতরী সেনাবাহিনীকে রীতিমতো হুমকি ও ধমকি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে আপনারা যদি এই অভুত্থানের বিরোধিতা করেন তাহলে আপনাদেরকে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন থেকে বাদ দেওয়া হবে। তাই কার্যতই তারা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পিছনে সরে এসেছিলেন।
সম্প্রতি সেনাপ্রধান যে শেষ সফরটি করে আসলেন সেখানে ভারতের দুই সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে সমস্ত কথাবার্তা সেরে তিনি দেশে ফেরেন। সেই সফরে যাওয়ার পরেই সেনাপ্রধান জানতে পারেন যে বেশ কিছু ব্যক্তি সেনা অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করছেন এবং যদি সেনাপ্রধান ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তবে তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে, ফলে সেনা প্রধান এই ষড়যন্ত্রের আচ পেয়ে তিনি রুট বদল করে ফিরে এলেন তেজগাও বিমানবন্দরে। আর এতে বিরোধীদের সমস্ত পরিকল্পনাও ব্যর্থ হল।
Discussion about this post