যতকাণ্ড হাসিনার আওয়ামী লীগ নিয়ে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী থেকে শুরু করে শেখ হাসিনা, বিভিন্ন সময় ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষোভ উপরে দিয়েছেন মোহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে। ফলে চাপে পড়েছেন নোবেল জয়ী। এমনকি স্বাধীনতা দিবসের প্রাক অনুষ্ঠান দেখা দিয়েছে, মোহম্মদ ইউনূস ভাষণ দিয়েছেন। যেখানে নিজের জমানার গুণগান করেছেন তিনি। একইসঙ্গে শেখ হাসিনার জমানাযকে দুষেছেন তিনি। তবে ভারতে থেকে শেখ হাসিনা মোহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়েছেন বিভিন্ন সময়। তার জমানায় হয়ে চলা কাজ নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এইবারও তার অন্যথা হয়নি। আর এই পরিস্থিতিতে এখন ছাত্রনেতারা ও মোহম্মদ ইউনূসের পাশে নেই। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। ছাত্রনেতাদের সঙ্গে মতবিরোধ সৃষ্টি হচ্ছে বলে বলছে ওয়াকিবহাল মহল।
কারণ ইউনূস বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নয়। এমনকি আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের। আর এদিকে, সেনাপ্রধানকে কাঠগড়ায় তুলে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ফেসবুকে সরব হয়েছিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। আর সেনাপ্রধানকে আক্রমণ করতে গিয়ে, হাসনাত ফেসবুকে লেখেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা করা শুধু বাকি রয়েছে। অর্থাৎ সেটি বলতে গিয়ে মোহম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধেও যে কথা বলে ফেললেন তিনি, সেটা পরিষ্কার। আর এতে অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে পদ্মাপাড়ে।
বাংলাদেশ এখন যে সময়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে ফের পালাবদল হতে পারে। তবে আর কোনও নির্দিষ্ট ব্যাক্তির হাতে নয়, ক্ষমতা যেতে পারে দেশের মেরুদণ্ড সেনার হাতে। যদিও পূর্বে একাধিকবার সেনা অভুত্থান হয়েছে বাংলাদেশে। এমনকি হাসিনা সরকারের পতনের পর কয়েকদিন সেনার দখলেই ছিল বঙ্গবন্ধুর দেশ। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হওয়ার পর দেশের পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে। জানি শুধু ভারত নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিশালী দেশ ও সরব হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের নির্বাচনী প্রচারে বাংলাদেশের কথা তুলে ধরছেন। তার জমানার মার্কিন গোয়েন্দা মহাপরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড ভারত সফরে এসে নয়া দিল্লিতে বসে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আর এরমধ্যেই শেখ হাসিনার দেশে ফার্স নিয়ে জল্পনা শুরি হয়েছে। তিনি নাকি এখন দিল্লিতে নয়, কলকাতাতে রয়েছেন। এমনটাই খবর উঠে আসছে। তবে কি হাসিনার দেশে ফেরা শুধু সময়ের অপেক্ষা?
।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছে। আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। খুন, ধর্ষণ, ডাকাতির ঘটনা চলছে বাংলাদেশে। যা কোনওভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। এমনকি পুলিসের সঙ্গে বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বসে আলোচনা করেনি ইউনূসের সরকার। এমন খবর সামনে আসেনি। আর এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন অত্যন্ত প্রয়োজন। যাতে স্থায়ী সরকারকে নিয়ে আসা যায়। সেটা কতটা মোহম্মদ ইউনুস চাইছেন, সেটা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। তবে এটা স্পষ্ট হয়েছে, বাংলাদেশের প্রশাসনিক স্তরে সেনাবাহিনী, উপদেষ্টা মন্ডলী এবং ইউনুস বাহিনী….. এমন তিনভাগে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে।
ফলে অত্যন্ত জটিল পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি। তার ওপর হাসনাতের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। হঠাৎ তার এই পোস্টে সেনানিবাসের বৈঠক, সরকারের অন্দরে গোপন কথা, যা সাধারণ মানুষের জানার কথা নয়, সে সমস্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়ে বিস্ফোরক পোস্ট দিয়ে ফেললেন হাসনাত। তবে বক্তব্য একটাই, সেনাপ্রধান উল্টো চাল শুরু করলে, কি করবেন ছাত্র নেতারা?
Discussion about this post