ভারত বিরোধী জিগার তুলতে তুলতেই কখন যে চট্টগ্রাম দখল হয়ে গেল, তা বুঝতে পারেনি বাংলাদেশ সরকার। প্রায় আরাকান আর্মিদের দখলে চলে গিয়েছে চট্টগ্রাম। মায়ানমারের ২৭১ কিলোমিটার সীমানা রয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে। বাংলাদেশের বান্দরবান, রাঙামাটি এবং কক্সবাজারের মতো তিনটি জেলা রয়েছে মায়ানমারের ঠিক পাশেই। এই এলাকাগুলির সীমান্তবর্তী এলাকাতে আরাকানরা দাপট দেখাচ্ছে। যা সামাল দিতে পারছে না ইউনূস প্রশাসন তা একেবারে স্পষ্ট।
বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, চলছে প্রবল হানাহানি, বিষ বাষ্পে জ্বলছে বাংলাদেশ। গোটা বিশ্বের দরবারে ইউনূস সরকারের নিন্দার ঝড় উঠছে। এদিকে ভারত বিরোধী মনোভাব স্পষ্ট হচ্ছে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে। বারেবারে হুঙ্কার দিয়েই চলেছেন সেখানকার কট্টরপন্থী দলীয় সংগঠনের কিছু নেতারা। সেভেন সিস্টার্স নিয়ে তাদের হুমকি, এমনকি বাদ যায়নি কলকাতাও। দখল করবে ভারতের একাংশ। যদিও এমন হুঙ্কারে মাথাব্যাথা নেই ভারতের। কারণ, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কোনও তুলনাই হয় না। অন্যদিকে, আরাকান আর্মি নিয়ে তথ্য গোপন করছে বাংলাদেশের তদারকি সরকার। অনেক তথ্যই গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করছে না। ইতিমধ্যেই আরাকান আর্মিদের তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।
সেই পোস্ট করা ভিডিওতে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে তারা বোমা বর্ষণ করেছে তারা। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম মানেই চট্টগ্রাম বন্দর তা নয়। মূল যে চট্টগ্রাম বন্দর অঞ্চল, বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে লাগোয়া, তারও পূর্বে বেশ খানিকটা পাহাড়ি অঞ্চল রয়েছে, সেগুলি পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে পড়ে। সেখানে তারা বোমা বর্ষণ করেছে। মায়ানমার আর্মি থেকে যুদ্ধাস্ত্র জোগাচ্ছে আরাকান আর্মি। ফলে দিনে দিনে যুদ্ধক্ষেত্রে শক্তিশালী হয়ে উঠছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এটি বুঝেও গিয়েছে বাংলাদেশের তদারকি সরকার। এই কারণে এই আরাকান আর্মিকে ছোট করে দেখছে না সরকার। বরং কীভাবে তারা মোকাবিলা করবেন, সেই নিয়েই আলোচনার পর আলোচনা চলছে। যদিও ভারতও যথেষ্ট সতর্ক। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্তে একাধিক সেনা মোতায়েন করেছে। কড়া প্রহরায় রয়েছে বিএসএফ। এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রস্তুত ভারত। আমদানি করা হয়েছে একাধিক যুদ্ধাস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র। উত্তর-পূর্ব সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম জেলা সংলগ্ন সীমান্তের কাছেই প্রায় ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলাদেশের তাক করা হয়েছে পিনাকা লগাইডেড মিসাইল। যা রেঞ্জ ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। রাফাল তে রয়েছেই। এইবার সামনে এল সুখোই ৫৭। রাশিয়া থেকে ভারত পেতে চলেছে সুখোই ৫৭। যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং সারা বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার জেট। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত? শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। সেখান থেকে তারা অস্ত্র মজুত করছে। ভারত বিদ্বেষ জিগার উঠার পরই নাকি অস্ত্র কেনার কথা ভেবেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুদ্ধ ছেড়ে এখন নিজেদের এলাকা সামলে রাখতে পারে কিনা বাংলাদেশ, সেটাই এখন দেখার।
Discussion about this post