আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয়বার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি বাংলাদেশের পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। ১২ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে।
এমনটাই নির্দেশ উঠে আসছে। এমনকি সূত্র মারফত খবর, এবার সরাসরি পাসপোর্ট বাতিল। অর্থাৎ বাংলাদেশের অন্দরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলছে গুরুতর চক্রান্ত। বিভিন্ন সূত্র মারফত বাংলাদেশের অন্দরে চলা এই ষড়যন্ত্রের হাদিস মিলছে। তা তুলে ধরব আজকের প্রতিবেদনে।
এখনো শেখ হাসিনা ভারতের আশ্রয় রয়েছে। শেখ হাসিনাকে ফেরত পেতে বাংলাদেশের তরফ থেকে একাধিক বার বার্তা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি ভারত। বরং উল্টে বলা হয়েছে তাদের বার্তা আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু শেখ হাসিনাকে নিয়ে ঠিক কি সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে জানায়নি ভারত। তবে একরকম ভাবে পরিষ্কার, যে ভারত এত সহজে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে না। ফের শেখ হাসিনাকে ফেরত পেতে কূটনৈতিক স্তরে ভারতকে নোট ভারবাল পাঠায় বাংলাদেশ। প্রত্যপণ চুক্তিতে এই নোট কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এর মধ্যে খবর উঠে আসছে বাংলাদেশের তরফে হাসিনা-সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই জুলাই আগস্টের গণহত্যার মামলা রুজু করা হয়েছে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ সরকারের।
হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের পরেই একটি প্রশ্ন উঠছে, যে তবে কি ভারত ছাড়া অন্য কোনও দেশে যেতে পারবেন না শেখ হাসিনা? তবে এই ঘটনা যে ঘটতে পারে এটা আগেই আঁচ করেছিল ভারত। সেই কারণেই হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়িয়েছিল ভারত সরকার। ফলে এই মুহূর্তে ভারত ছাড়ার কোনও প্রয়োজন নেই হাসিনার। তবে ১২ ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত কমিশনে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ। আর যদি হাসিনা হাজিরা না দেন তবে ভারতে এসে কমিশন হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। যদিও তাতে কূটনৈতিক অনুমতি নিতে হবে কমিশনকে। প্রত্যেকটি রাষ্ট্র প্রধানের কাছে ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট থাকে। যাতে খুব সহজেই অন্য দেশে যেতে পারেন। শেখ হাসিনার কাছেও ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট ছিল। সেই পাসপোর্ট ধরেই হাসিনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট বাতিল করে দেয়। অর্থাৎ সাধারণ নাগরিকদের মতো তার কাছে সাধারণ পাসপোর্ট ছিল এতদিন। এইবার সেই পাসপোর্টও বাতিল করে দেওয়া হল।
তবে পাসপোর্ট বাতিলের ফলে কি সমস্যায় পড়বেন শেখ হাসিনা? নাকি এতে তার উপকারই হল?
জানা যাচ্ছে, শেখ হাসিনা ভারতের থাকতে পারবেন। যদি অন্য কোনও দেশ রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে রাজি হয় সেক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সেই দেশে থাকতে পারবেন। এমনকি ভারতের দেওয়া ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে বিশ্বের যে কোনও দেশে তিনি যেতে পারবেন। তবে বাংলাদেশ থেকে কূটনৈতিক স্তরে ভারতকে যে নোট ভার্বাল পাঠানো হয়েছে তার জবাব আদেও দেয় কিনা ভারত সেদিকে নজর রয়েছে ঢাকার।
Discussion about this post