ভারতকে সাক্ষী করে শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাইডেন প্রশাসন একাধিক মন্তব্য করল। হঠাৎ করে এতদিন পর বাইডেন প্রশাসন কেন শেখ হাসিনাকে নিয়ে মন্তব্য করলেন? এই প্রশ্ন আরো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে তার কারণ, এই বাইডেন নাকি ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনাকে তার চেয়ার থেকে সরিয়েছেন। সেই হাসিনাকেই গুরুত্ব দিতে শুরু করলো যুক্তরাষ্ট্র? এরমধ্যেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসছে চাঁদ আজকের দিনে রাজনীতিতে দাঁড়িয়ে বিশেষ অর্থ বহন করে।
গতকাল আমেরিকা ভারত এবং বাংলাদেশকে নিয়ে দুটি প্রেস কনফারেন্স করেছেন। সেখানে যে ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে তার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। জ্যাক সুলভান বেশ কিছু কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পেছনে বাইডেন প্রশাসনের হাত রয়েছে এটা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চর্চিত হচ্ছে কিন্তু এই বিষয়টি ভারতও বিশ্বাস করে না। বেশ কিছুদিন আগে জ্যাক সুলিভন ভারতে এসেছিলেন। সেখানে অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশকে নিয়েই আলোচনা হয়েছে। এও মনে করা হচ্ছে, বাইডেন প্রশাসনে থাকাকালীন যে যে ভুলগুলি করেছেন, সেগুলি দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যাতে ভুল বার্তা না যায়, সেই কারণে এই বৈঠক করা হয়েছে। কারণ তিনি ভালো করেই জানেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এই বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলতে শুরু করলে বিপাকে পড়বেন বাইডেন। জো বাইডেন ছিলেন প্রতি হিংসাপরায়ণ রাজনীতিবিদ। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যে বদল হতে পারে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউনূস। সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে যাক সোলেমানের এই প্রেস কনফারেন্স যেখানে ভারতকে সাক্ষী করে তাজা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একটি অর্থ বহন করে বলাই বাহুল্য। কেউ বলা হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত।
এখানেই একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য। বারে বারে ভারত প্রীতি দেখানো বা ভারতকে সঙ্গে নিয়ে চলার যে আহ্বান জানানো হচ্ছে, এর পিছনে কোন রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে, তা বলাই যায়।
এর সঙ্গে আরও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি তারিখ ঘোরাফেরা করছে। তা হল ২০ জানুয়ারি। সম্প্রতি, সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান ভারতের সঙ্গে সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দিয়েছেন। তাই তার ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু আধিকারিক এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে। নির্দিষ্ট করে এই ২০ জানুয়ারির আগে। এমনকি সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে। যেহেতু সেনাপ্রধান হাসিনার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বাংলাদেশের এখন যা পরিস্থিতি, অর্থাৎ দেশের অভ্যন্তরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন যে প্রকট হয়ে গেছে, তার মধ্যে যদি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বড় কোনো পরিবর্তন আসে তবে তা আরো তীব্র আকার ধারণ করবে, বলাই বাহুল্য। তার মধ্যে মেজর ডালিম যদি বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং তার সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি হাত মেলায় তাহলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অবস্থা সংকটজনক হয়ে উঠবে সেটা বুঝতে পারছেন অনেকেই। এখন দেখার এই ভয়ঙ্কর জানুয়ারি মাস বাংলাদেশের জন্য কি নিয়ে আসে।
Discussion about this post