ফের স্বল্প বিরতিতে মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার জামানের বৈঠক। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সৌজন্য বৈঠক হয় দুজনের। তবে হঠাৎ কেন এই বৈঠক, কি নিয়ে আলোচনা হল? উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন।
বাংলাদেশের ঘটনার ঘনঘটা। কখনো বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান খবরের শিরোনামে, আবার কখনো প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস। তবে এবার দুজনেই বাংলাদেশের চর্চার কেন্দ্র বিন্দুতে। হঠাৎ করেই সেনাপ্রধানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক। তাও আবার আগে থেকে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি না করে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে, কি এমন ঘটলো, যাদের তড়িঘড়ি বৈঠক করতে হল! নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও ঘটনা! এর আগেও তাদের বৈঠক হয়েছে। তখন বিভিন্ন সূত্র বলছিল, সেনাপ্রধান ও প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে দূরত্ব বেড়ে গিয়েছে। আর সেই দূরত্ব ঘোচার জন্যই এই বৈঠক। তবে বৈঠকের পর কি দূরত্ব ঘুচল? ফের বৈঠক।
খবর রয়েছে, বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক হয় সেনাপ্রধানের। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও কার্যক্রম নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেন সেনাপ্রধান। সম্প্রতি চীন সফর করেন ইউনূস। সেই বিষয়ে অবগত করান সেনাপ্রধানকে। পাশাপাশি এটা জানান, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত হবে। এছাড়াও একে অপরকে বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য করবে।
এছাড়াও খবর উঠে এসেছে, গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্রদের চিকিৎসাজনিত বিষয়ে সেনাবাহিনীর তরফে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সেই বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান সেনাপ্রধান। তবে প্রকাশিত খবর ছাড়াও আর কি কি বৈঠকে উঠে এসেছে, সেগুলি গোপনই রাখা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ, সেটা সেনাপ্রধান প্রধান উপদেষ্টা কে অবগত না করলে, তার কাছে কি কোন খবর ছিল না? কেন এতদিন পরিস্থিতির ওপর লাগাম টানা হলো না? কেন গোটা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হল?
এখন দেখার সেনাপ্রধান ও প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়।
Discussion about this post