আর কটা দিন পরই নতুন বছর ২০২৫। আর এই ২০২৫-এর ২০ জানুয়ারি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। কারণ সোশ্যাল মিডিয়াতে ২০ জানুয়ারি অত্যন্ত হাইলাইট হচ্ছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই দিন নতুন কিছু হতে পারে বা হতে চলেছে। তবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নতুন কিছু বদল আসতে চলেছে? একটি তারিখ, কিন্তু প্রশ্ন অনেকগুলো।
আমেরিকায় ক্ষমতায় ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তিনি এখনও পর্যন্ত সিংহাসনে বসেননি। তার সিংহাসনে বসার অপেক্ষায় রয়েছে ভারতও। এটি যেমন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একটি বড় অপেক্ষা। তেমনই বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান কি, সেটাও একটি বড় দিক। কারণ, একটি খবর সম্প্রতি চাউর হয়েছে। চলতি বছরে ৫ই অগাস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে দিল্লির হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। অজিত ডোভাল ঢাকাতে প্রভাব দেখাক, এটাই চাওয়া হয়েছিল হাসিনার তরফে। কিন্তু বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কারণে সেটা করা হয়নি। এমনকি বিমান পর্যন্ত চেয়েছিলেন ভারত থেকে পাঠানো হোক, কিন্তু সেটাও পাঠায়নি। তবে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়লেও তিনি অক্ষত অবস্থায় রয়েছেন, এটাও ভারতের কারণেই। উল্লেখ্য, চলতি বছরে ৪ঠা অগাস্ট শেখ হাসিনা নাকি রাষ্ট্রপতি শাহবুদ্দিনকে ফোন করে বলেছিলেন, যেকোনও ধরণের জটিল পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকুন। অর্থাৎ ৪ঠা অগাস্টও শেখ হাসিনা ভাবেননি, আগামিকাল অর্থাৎ ৫ই অগাস্ট তাকে দেশ ছাড়তে হবে। আর এরমধ্যেই ২০ জানুয়ারি এই তারিখ সামনে এসেছে। সেদিনই কি তবে চাল উল্টে যেতে পারে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে? সেদিক থেকেও একটি প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।
সম্প্রতি আরও একটি বিষয় ভয়ঙ্করভাবে বাড়ছে ভারতে। তা হল পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গা থেকে জঙ্গিরা ধরা পড়ছে। ইতিমধ্যেই ক্যানিং থেকে পাকিস্তানি জঙ্গি গ্রেফতার হওয়া চিন্তা বাড়াচ্ছে ক্রমশ। এছাড়া বাংলার বেশ কিছু জেলা থেকে গ্রেফতার হয়েছে বেশ কিছু জঙ্গি। এদের মূল উদ্দেশ্যই নাকি, নাশকতা ছড়ানো। ভারতের স্লিপার শেলগুলি সক্রিয় করানো। এমনকি কট্টরপন্থী বাংলাদেশী সংগঠনের নেতাদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র তুলে দেওয়া। এরমধ্যে আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়, বাংলাদেশে আনসারুল্লা বাংলা টিম জামাতের মতো কট্টরপন্থী সংগঠনের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় হয়েছে। এরমধ্যে খবর, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানের একের পর এক জাহাজ আসছে। সেই নিয়েও আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে কি এবার বাংলাদেশ যুদ্ধক্ষেত্রে অত্যন্ত শক্তিশালী হচ্ছে? যদিও তা নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা নেই ভারতের। কারণ বাংলাদেশের সামরিক শক্তি ভারতের থেকে বহুগুনে বেশি। পাশাপাশি পাকিস্তান হয়তো আর কিছুদিনের মধ্যে দেউলিয়া দেশ হিসাবে ঘোষিত হতে পারে। সেখানে তাদের ক্ষমতা নিয়ে ভারত কেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও পরিচিত।
অন্যদিকে, ভারত, আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীন। বিশ্ব রাজনীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প, নরেন্দ্র মোদী, ভ্লাদিমির পুতিন এবং সি জিং পিং হল এক একটি শক্তি। আন্তজার্তিক কূটনৈতিক ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় রচনা করেছে এই চার রাষ্ট্র প্রধান। শেখ হাসিনার প্রতি তাদের সমর্থন রয়েছে। অনেকেই বলছেন, শেখ হাসিনা তার দেশে ফের ফিরে আসবেন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে। আবারও তিনি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন। শুধুমাত্র বাংলাদেশে অভ্যান্তরে বিশৃঙ্খলা নয়, দেশের একটি বিরাট অংশ আরাকান আর্মির হাতে দখলে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন ইউনূস। যা লাগাম টানতে তিনি ব্যর্থ হবেন। সেই জায়গায় শেখ হাসিনাই একমাত্র ভরসা বাংলাদেশের, মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে কি নতুন বছরে ২০ জানুয়ারি এমনই কিছু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে? তবে তার উত্তর দেবে সময়।
Discussion about this post