ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নিতেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন নির্বাহী আদেশের ঝড় তুলবেন গোটা দেশে। সেটাই হতে চলেছে। শপথ গ্রহণের পরই একাধিক ইস্যু নিয়ে সই করে ফেলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাতিল করে দিয়েছেন বাইডেন সরকারের ৭৮টি নির্বাহী কাজ। মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যম গুলি বলছে, সীমান্তে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করবেন ট্রাম্প। ওভাল অফিস থেকে একের পর এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তিনি।
আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, জো বাইডেনের নীতির বিরুদ্ধে কাজ করবেন। আর সেই মতই খেলা শুরু করে দিয়েছেন তিনি। লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে বড় খবর ঘোষণা করা হয়েছে। জো বাইডেনের আমলে, রূপান্তরকামিদের জন্য সরকারি ক্ষেত্রে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য নীতি চালু করা ছিল। ক্ষমতায় আসার চার দিনের মধ্যেই ওভাল অফিসে এই নীতি চালু করেছিলেন বাইডেন। তবে ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসতেই জো বাইডেনের সেই নীতি উপড়ে ফেলতে উদ্যোগী হলেন। আমেরিকায় তৃতীয় লিঙ্গ বলে কিছু থাকবে না। সরকারিভাবে পুরুষ এবং স্ত্রী এই দুটি লিঙ্গই থাকবে। এই নিয়ে উত্তাল হয়েছে আমেরিকা। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হচ্ছে। সে সংগঠনের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা কোথাও পালিয়ে যাচ্ছেন না, এই দেশেই তারা বসবাস করবেন। এবং নিজেদের অধিকার নিয়েই তারা কাজ করে লড়াই করে বাঁচবেন।
অর্থাৎ ক্ষমতায় বসতেই একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছেন তিনি। দেশের অভ্যন্তরের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতি, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, কূটনৈতিক সম্পর্ক ঠিক কেমন হতে চলেছে সেই নিয়ম নানা জল্পনা তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। ভারত নিয়ে কি নীতির গ্রহণ করতে চলেছেন ট্রাম্প? সেই নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির সখ্যতা থাকায়, অতীতের থেকেও বর্তমানে আরো সম্পর্ক দৃঢ় হবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। মেঘ ঘনিয়ে আসছে বাংলাদেশের জন্য। কারণ বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে ভারত যেমন সরব হয়েছিল, ঠিক একই ভাবেই ট্রাম্পও সরব হয়েছিলেন। নিজের নির্বাচনী প্রচারে বাংলাদেশ নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেন। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি ইউনূস। আর তার ফল ভুগতে হবে গোটা বাংলাদেশকে। বাংলাদেশে স্থায়ী সরকার গঠনের জন্য নির্বাচনী চাপ দিতে পারেন ট্রাম্প। তাতে খানিকটা হলেও বিপাকে পড়বেন ইউনূস। তেমনটাই মনে করা হচ্ছে।
যদিও ইউনুস এখন বাংলাদেশে নেই। তিনি সুইজারল্যান্ড গিয়েছেন। সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য প্যারিসে যেতে পারেন। ফলে একটি লম্বা সফরে রয়েছেন মহম্মদ ইউনুস। দেশে ফিরে এসে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়া খুব তাড়াতাড়ি হবে না সেটা বোঝাই যাচ্ছে। আমেরিকা থেকে চাপ আসতে পারে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহুল মহল। এখন দেখার শেষমেষ কি পরিণতি হয়, বাংলাদেশের।
Discussion about this post