বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস তিনি কি সে দেশের সরকারি দায়িত্বে স্থায়ী হতে যাচ্ছেন? তিনি দীর্ঘদিন ধরে সরকারের যে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন সেই গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থায়ী থাকার আকাঙ্ক্ষা কি মনের মধ্যে লালন করে চলেছেন? সাম্প্রতিককালে জানা যাচ্ছে মোহাম্মদ ইউনুস তিনি নিজের সরকারি ক্ষমতা হস্তান্তর করতে একেবারেই নারাজ।
আর এই আবহে তাকে সম্মতি জানাচ্ছেন বিভিন্ন দল ও তার উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের একটি নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
শনিবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই আকাঙ্খার কথা জানান।
ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে সারজিস লেখেন, ‘প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মত একজন স্টেটসম্যানকে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের একটি নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার আজীবন থাকবে।’
উল্লেখ্য,এমন একটা আকাঙ্ক্ষার কথা এনসিপি-র পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ধর্মীয় দলের নেতাদের মধ্যে আগেও লক্ষ্য করা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে,গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশে ছেড়ে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সময় তাৎক্ষণিক ভাবে ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় সরকার গড়ার প্রস্তাবও উঠেছিল। কিন্তু, খালেদা জিয়ার দল বিএনপির নেতিবাচক অবস্থানের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরে, এ বিষয়ে ইউনূস সরকারের সমর্থক দলগুলির মধ্যে প্রায়ই টানাপড়েনের খবর বাইরে চাউর হতে দেখা যায়। এবার সেই আবহে জল্পনায় ইন্ধন জোগালেন সারজিস। তবে বিএনপি’র তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, জনগণকে ভোটের অধিকার বঞ্চিত করতে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু হয়েছে। দলটির সংযোজন, জনগণের স্বার্থে কোনও আঘাত এলে বিএনপি আবারও রাজপথে নামবে।
গত ২৬ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা চার দিনের চীন সফরে যান। তার এই সফর অনেক ফলপ্রসূ হয়েছে, উল্লেখ করেছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
Discussion about this post