বাংলাদেশের ক্ষমতায় রয়েছে মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটি মাস তবে এই সরকারের মেয়াদ আর বেশিদিন নয়, কারণ খুব শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন। আর এ কথা জানালেন স্বয়ং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস।
২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে মঞ্চে উঠে ডঃ মোঃ ইউনুস জানান আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন হতে চলেছে। সেই সঙ্গে ভারত ও ভারতীয় গণমাধ্যমকে কাঠগড়ায় তুলতে। ইউনূসের দাবি, বাংলাদেশ নিয়ে যা খবর ছড়িয়ে পড়ছে তা সবটাই গুজব ও রটনা। এই গুজব ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ এবং ভারতীয় মিডিয়া। যদিও তিনি কারও নাম উচ্চারণ না করে সবটাই আকারে ইঙ্গিতে বলেছেন। তবে তাঁর কথায় কে বা কারা টার্গেট, সেটা বুঝতে কারও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যেমন প্রাক স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে ইউনূস আবারও বললেন, আপনারা জানেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজবের যেন এক মহোৎসব চলছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একের পর এক মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। অভিনব সব প্রক্রিয়ায় গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “ওঁরা এই ঐক্য ভাঙতে চায়। এদের অভিনব কৌশল আপনি টেরই পাবেন না। আপনি বুঝতেই পারবেন না কখন তাদের খেলায় পুতুল হয়ে গিয়েছেন। সচেতনতা এবং সামগ্রিক ঐক্য দিয়েই এই গুজবকে রুখতে হবে। পলাতক অপশক্তির ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিতে হবে।”
এর আগে বহুবার তাঁর নেতৃত্বাধীন তদারকি সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা এবং তাঁর ছাত্র নেতারা বহুবার ভারতীয় মিডিয়ার ওপর এই অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন। তবে এতকিছু করেও মুহাম্মদ ইউনূস লুকোতে পারলেন না দেশের প্রকৃত চিত্রটি। দেশ যে অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, দেশে অরাজক পরিস্থিতি রয়েছে সেটা বলেই ফেললেন। তাঁর মুখেই শোনা গেল, দেশ এখন যুদ্ধাবস্থায় আছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতির
উদ্দেশ্যে কি বললেন ডঃ মোহম্মদ ইউনুস শুনুন,,,
বাইট- মহম্মদ ইউনুস
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, দেশে যদি যুদ্ধাবস্থাই থাকে, তাহলে তিনি কেন নিশ্চিন্তে চিনের উদ্দেশ্যে উড়ে গেলেন?বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে যেখানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান তিন দিন ধরে একের পর এক বৈঠক করলেন।
সেনাবাহিনীকে ঐক্যবদ্ধ করলেন দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে। দ্রুত নির্বাচনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করতে সেনাপ্রধান যখন উদ্যোগী, তখন প্রধান উপদেষ্টা চিন সফর করছেন। যেখানে তিনি আদৌ কোনও সুবিধা আদায় করতে পারবেন, তার নিশ্চিয়তা নেই।
Discussion about this post