কাজল। শুধু একটা নাম নয়। তার নাম শুনেই রুপোলি পর্দায় তার অনুরাগীরা তার প্রেমে কুপোকাত। ৮ থেকে ৮০ বয়সের কোনো তোয়াক্কা নেই তার অনুরাগীর লম্বা লিস্টে। এককথায় কাজলকে নব্বই দশকের হার্ট থ্রব বলা যেতেই পারে।
১৯৯২ সালে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বপ্রথম পা রাখেন কাজল। বলিউডে তার প্রথম ছবি বেখুদি। তার বিপরীতে ছিলেন কমল সাদানা। ছবিটি সেসময় বক্স অফিসে ভালো জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।
আর তারপর থেকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেত্রীকে। কেরিয়ার জীবনে একের পর এক জনপ্রিয় ছবি তাকে আরও জনপ্রিয় করে তোলে দর্শকের চোখে।
২০০১ সালে কেরিয়ার জীবন থেকে সাময়িক সময়ের জন্য অবসর নিয়েছিলেন একবার। তবে,তারপর আবার বলিউডে নিজ দক্ষতায় পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নেন কাজল।
তার অভিনয় জীবনে তার নামে এক ভয়ঙ্কর রটনা রটে একবার। শোনা যায় তার নাকি বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। আবার এই ফোন কল যায় তার মা অর্থাৎ নামজাদা অভিনেত্রী তনুজার কাছে।
সম্প্রতি কপিল শর্মার শোয়ে এসে অভিনেত্রী এমনই কথা ফাঁস করেছেন। কি বললেন অভিনেত্রী কাজল দেবগণ? এই বিষয়ে কাজল বলেন, ‘এটা অনেকবার হয়েছে । সোশ্যাল মিডিয়া আসার আগেও হয়েছে এটা। কেউ বাড়িতে আমার মাকে ফোন করে জানিয়েছিল আমার প্লেন ক্র্যাশ করেছে। আমি মারা গেছি তাতে।’ আর সেই সময় যেহেতু এখনের মতো এত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না তাই ব্যাপারটা খুব কষ্টদায়ক হতো। আতঙ্কে ভুগত সবাই।
তিনি এদিন আরও জানান, একবার একটা ভিডিয়ো ভাইরাল হয় যেখানে বলা হয় যে তিনি মারা গিয়েছেন। অসুস্থ মস্তিষ্কের কাজ এসব, দাবি করেন কাজল। বিষয়টা নিছক মজা থাকে না আর এসব ক্ষেত্রে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, কাজল ২০১১ সালে ভারত সরকারের তরফে পদ্মশ্রী সম্মান পান যা ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা।
Discussion about this post