দীর্ঘ চার ঘন্টা সলমানকে জেরা করেছে পুলিশ।জানা গেছে 150 টা প্রশ্ন করা হয়েছে তাকে।তার বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ।কি কি প্রশ্ন করা হয়েছে ভাইজানকে! কেনই বা তাকে জেরা করল পুলিশ! ১৪ এপ্রিল সলমানের বাড়ির সামনে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।আচমকাই তার ফ্ল্যাটের সামনে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।সিসিটিভিতে ধরা পরে সেই ছবি।এরপর মুম্বই পুলিশ তদন্ত শুরু করে।একে একে পুলিশের জালে ধরা দেয় ঐ চার বন্দুকবাজ।
গুলিকান্ডের পর থেকেই নিরাপত্তার ঘেরাটপে রয়েছেন সলমান।মুম্বই পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে।সলমানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনায় উদ্বেগে রয়েছেন অনুরাগীরাও।তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ঐ চার দুষ্কৃতী বিষ্ণই গ্যাংএর লোক।
গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই সলমানকে মারার সরযন্ত্র করেছেন। এই মুহূর্তে জেলে বন্দি রয়েছেন লড়েন্স বিষ্ণয়।কিন্তু সলমানের ওপর কিসের এত ক্ষোভ তার!কিসের শত্রুতা ভাইজানের সঙ্গে!১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারকাণ্ডে সলমন খানের নাম জড়িয়েছিল।এর বদলা নিতে সলমনকে খুনের হুমকি দেয় লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠী। শুধু সলমান নয় জেলে বসে 10 জনকে খতম করার সরযন্ত্র করেছেন তিনি।তার মধ্যে অন্যতম সলমান খান।
এবার সলমানকে জেরা করল পুলিশ। একা সলমন নন, ভাই আরবাজ় খানেরও বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।বয়সজনিত কারণে জিজ্ঞাসবাদে থাকতে পারেননি সলমানের বাবা সেলিম খান। জেরা করার সময় সে দিনের ঘটনার গোটা বিবরণ দিয়েছেন সলমান।পুলিশ সুত্রে খবর, ১৪ এপ্রিল পশ্চিম বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ও তাঁর মা-বাবা।দুষ্কৃতীরা পাঁচ থেকে ছয় রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ।সলমন জানান,আচমকা গুলির শব্দেই তিনি জেগে ওঠেন।উঠে সোজা বারান্দায় যান।সেখান গিয়ে কাউকে দেখতে পাননি সলমান।ক্রমাগত তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
এরপর ই মুম্বই পুলিশের দারস্থ হন অভিনেতা।এই মুহুর্তে করা নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে সলমানকে।
Discussion about this post