গরমের এই সময়টা এক গ্লাস কাঁচা আমের রস সারা শরীরে এনে দেয় প্রশান্তি৷ অন্যকদিকে পাকা আমের মধুর রসেও আসে তৃপ্তি ৷ পুষ্টিবিদরা বলছেন, কাঁচা বা পাকা দুই ধরনের আমই শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর ৷
আম কাঁচা বা পাকা যে অবস্থায়ই থাকুক না কেন, শরীরের জন্য এর কোনো নেতিবাচক দিক নেই বললেই চলে। কাঁচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় প্রচণ্ড গরমে তা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।
কাঁচা আমের গুণাবলী
কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘ সি ‘ এবং ম্যাগনেশিয়াম থাকে। ১০০ গ্রাম কাঁচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালোরি। এছাড়া কাঁচা আমে সুগারের লেভেল খুবই কম থাকে, যা আমাদের শরীরের পক্ষে স্বাস্থ্যকারী।
১.ওজন কমাতে সাহায্য করে।
২.বমি বমি ভাব দূর করে।
৩.শরীরকে ঠাণ্ডা এবং আদ্র রাখে।
৪.যকৃতের সমস্যা দূর করে।
৫.ডাযবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
৬.ঘামাচি প্রতিরোধ করে।
৭.মাড়ির রক্ত পড়া কম করে।
৮.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৯.শরীরে সোডিয়াম বা লবণের ঘাটতি পূরণ করে।
১০.ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটায়।
১১.চুল ত্বক উজ্জ্বল করে।
১২. ভিটামিন ‘ সি ‘- র ভালো উপাদান হিসেবে কাজ করে।
১৩.হজম শক্তি বাড়ায়।
১৪.ক্ষুধামন্দ দূর করে খাবার খাওয়ার আগ্রহ বাড়ায়।
১৫.অম্লতা দূর করে।
১৬.ঝিমুনি ভাব দূর করে।
১৭. রক্তের সমস্যা দুর করে।
পাকা আমের গুণাবলী
পাকা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’ থাকে । তাছাড়া এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট , পটাশিয়াম, সাইট্রিক অ্যাসিড ও ২৫ রকমের কেরাটিনোইডস থাকে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অনুকূল। কিন্তু পাকা আমে উপস্থিত সুগার আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।তবে যারা ওজন বৃদ্ধি করতে এবং শরীরে দীর্ঘস্থায়ী লাবণ্য আনতে চাইছেন তাদের জন্য পাকা আম বিশেষ কার্যকর।
১. পাকা আম ত্বক উজ্জ্বল, সুন্দর ও মসৃণ করে।
২.লোমের গোড়া পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে
৩. ব্রণের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে।
৪.পাকা আম আঁশ, ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে সহায়তা করে।
৫.আমে প্রায় ২৫ রকমের বিভিন্ন কেরাটিনোইডস যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে রাখবে সুস্থ ও সবল।
৬.এটি চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৭.রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে।
৮.এক কাপ আম আপনার দৈনন্দিন ভিটামিন ‘এ’ এর চাহিদার প্রায় পঁচিশ শতাংশের যোগান দিতে পারে।
৯. প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পাকা আম খেলে মুখের কালো দাগ দূর হয়।
১০. আমে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। স্তন, লিউকেমিয়া, কোলনসহ প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে প্রচুর এনজাইমও পাওয়া যায়।
১১. পাকা আম পটাসিয়ামসমৃদ্ধ হওয়ায় হার্টবিট ও রক্তস্বল্পতা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এটি।
১২.পাকা আম রক্ত পরিষ্কার করে। আমের টারটারিক, ম্যালিক, সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরে অ্যালকোহল ধরে রাখতে সহায়তা করে।
১৩.আমের ভেষজ গুণ আমাদের স্কিন ক্যানসার সহ বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময় করে।
Discussion about this post