বাংলাদেশের পরিস্থিতি অশান্ত। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। এই অন্তর্বর্তী সরকার সরকার চালাতে ব্যর্থ। উঠে আসছে নানা অভিযোগ। আর এরিমাঝে একটি বড় খবর। যা ঘিরে দেশের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশের ভিতরে ঢুকে গেল মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী আরাকান আর্মি। শুধু ঢুকে পড়াই নয় ভিতরে ঢুকে কার্যত জলকেলি উৎসবে মেতে উঠতে দেখা গেল তাদের। রীতিমতো চলল নাচগান। পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার জনজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি এই বিষয়টি নিয়ে নিশানা করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে। মায়ানমারের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এর আগে সীমান্তে গুলি এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল। এই বার জানা যাচ্ছে, সরাসরি সীমান্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ। প্রকাশিত খবরে দাবি করা হচ্ছে, রেমাক্রি জলপ্রপাতে আয়োজিত জলকেলি উৎসবে অংশ নিয়েছে তারা। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, বান্দরবান লাগোয়া মায়ানমারের লাভ্রের এলাকার ইউএলএ প্রধান মংথুইহ্লা মারমা, আরাকান আর্মির লেফটেন্যান্ট জোকা, ক্যাপ্টেন ক্যজো রাখাইন ছাড়াও অনেকে রয়েছেন। অভিযোগ উঠছে, মায়ানমার সীমান্তে নজরদারির দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্ডার গার্ড কয়েক জন জওয়ান ও অফিসার রেমাক্রি জলপ্রপাতের অদূরের শিবিরে দাঁড়িয়ে থাকলেও তারা কেউ আরাকান আর্মির নেতা-কর্মীদের অনুপ্রবেশে বাধা দেননি বলে জানা যাচ্ছে। বান্দরবানের পুলিস সুপার মো. শহিদুল্লাহ জানিয়েছেন, আরাকান আর্মিরা বান্দরবানের থানচিতে বৈসাবি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে, এই খবরটি তারা জানতে পেরেছেন। তবে বিষয়টি কতটা সত্যি সেটা উদঘাটন করতে আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছে। এখন দেখার, শেষমেশ কি হয়!
Discussion about this post