ভারতকে প্যাঁচে ফেলতে ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করেছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিফ মুনির। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং সেনা কর্তারা মিলে হাসিনা বিহীন বাংলাদেশে নিজেদের প্রভাব বাড়িয়েছিল ধীরে ধীরে। বাংলাদেশ সেনায় এতটাই প্রভাব বাড়িয়েছিল পাকিস্তান যে তাঁদের হাতে একাধিক অস্ত্র কারখানা তুলে দেওয়ার পরিকল্পনাও প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই চট্টগ্রাম, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলিতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির চালু করে দিয়েছিল। মিয়ানমার থেকে আরাকান আর্মির তাড়া খেয়ে বাংলাদেশ পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জঙ্গি দলগুলিকে ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কাজে লাগাতে তৎপর হয়েছিল পাকিস্তান। আর এতে সরাসরি মদত দিচ্ছিল বাংলাদেশ সেনার একাংশ এবং ইউনূস সরকার। কিন্তু কোনও কুকর্ম বেশিদিন চাপা থাকে না। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির নজরদারি এবং বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের সহায়তায় পাকিস্তান খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। এমনকি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানকে সরিয়ে দেওয়া ও গ্রেফতার করার যে চক্রান্ত হয়েছিল, সেটাও ফাঁস করে প্রতিহত করেছে ভারত। এ ক্ষেত্রে ভারতকে সাহায্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতকে প্যাঁচে ফেলতে চাওয়া পাকিস্তানের সামনে এবার নয়া বিপদ। এমনিতেই গৃহযুদ্ধে বিদ্ধস্ত পাকিস্তান, এবার সেনাবাহিনীর মধ্যেই বিদ্রোহের আঁচ দেখা দিল সে দেশে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে এবার রীতিমতো বিদ্রোহ শুরু করে দিয়েছেন জুনিয়র সেনা অফিসাররা। তাৎপর্যপূর্ণ দিক হল, বাংলাদেশে যে খেলাটা খেলতে চেয়েছিল পাকিস্তান সেনা, এবার সেই খেলা শুরু হয়েছে পাকিস্তানেই। অর্থাৎ বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের বিরুদ্ধে দুনিয়ার সেনাকর্তাদের লেলিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান ও কামরুল হাসানের মত জুনিয়র সেনাকর্তা কার্যত বিদ্রোহ শুরু করেছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্দরে। জেনারেল ওয়াকার সেই চেষ্টা ব্যর্থ করেছেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে একতা ফিরিয়ে এনে নিজের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে সমর্থ হয়েছেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অন্দরেই বিদ্রোহের সুর চরম আকার ধারণ করেছে।
জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের পদত্যাগ চেয়ে তাঁকে চিঠি দিয়েছেন পাক সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসাররা। সেই চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, আপনার সময় শেষ, তাই তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করুন। ওই চিঠিতে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক নিপীড়ন ও ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই চিঠি পাকিস্তানি আর্মির কয়েকজন কর্নেল, ক্যাপ্টেন ও সৈনিক লিখেছেন। সেই চিঠি সেনাপ্রধানের কাছে পৌঁছতেই পাকিস্তানে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ দিক হল, ওই চিঠিতে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল মুনীরকে ১৯৭১ সালে পরাজয়ের কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী পরাজয় স্বীকার করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করেছিল এবং স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এবারও বাংলাদেশে সক্রিয় পাক সেনা, কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভিতর যে বিদ্রোহ তৈরি করার চেষ্টা করেছিল পাক সেনা কর্তারা তা ব্যর্থ হয়। এতেই ক্ষেপে গিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসাররা। কারণ এই মুহূর্তে পাক আর্মি প্রতিনিয়ত মার খাচ্ছে বিদ্রোহী বালুচ আর্মির হাতে। প্রতিদিনই তাঁরা একাধিক আঘাত হানছে, তাতে বহু সেনা জওযানের মৃত্যুও হচ্ছে। সবমিলিয়ে প্রবল চাপে পাক সেনাবাহিনী কার্যত ভেঙে পড়েছে। জানা যাচ্ছে, বিগত কয়েক সপ্তাহে কয়েক হাজার সেনা জওয়ান ও জুনিয়র অফিসার পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাক সেনাপ্রধান অসীম মুনিরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে। সবমিলিয়ে প্রবল ক্ষুব্ধ পাক সেনার জুনিয়ার অফিসাররা। যে পাক সেনাপ্রধান বাংলাদেশকে হাতিয়ার করে ভারতকে প্যাঁচে ফেলতে চেয়েছিলেন, সেই তিনিই এখন প্রবল চাপে। অপরদিকে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান ভারতের দিকে তাকিয়ে দেশের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে।
Discussion about this post