রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, ভারতের বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। শেখ হাসিনাকে সরিয়ে মুহম্মুদ ইউনূসকে সিংহাসনে বসানো ছিল শুরুয়াত। এগুলি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। ওপার বাংলায় যা ঘটনা ঘটছে তা একেবারে আগে থেকেই ছক কষা। তার উপর ওপার বাংলার একাধিক ব্যক্তির মন্তব্য, ভারতকে উস্কানি দিচ্ছে। যুদ্ধের ক্ষেত্রে একরকম আহবান করছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, সামরিক দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী ভারতকে একটি ৩৭তম স্থানে থাকা দেশ কীভাবে উস্কাতে পারে? তবে অনেকে বলছে, নতুন বছরের জানুয়ারিতেই কোনও বড়সড় পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারত।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, জানুয়ারি মাসে ভারত বাংলাদেশের উপর যদি কোনওরকম সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো কোনওরমক সামরিক অভিযান চালায়, সেক্ষেত্রে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে ভারত যদিও এরকম ধরণের কিছু পদক্ষেপ করে, তা সর্তক হয়ে, ভেবে চিন্তেই করবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ যে কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, একটি পাতা ফাঁদ, তা ইতিমধ্যেই বুঝে গিয়েছে অনেকে।
যেমন… রাশিয়া একটি বিশ্বের দ্বিতীয় সামরিক শক্তিশালী দেশ। সবথেকে শক্তিশালী আমেরিকা। তবে নিউক্লিয়ার পাওয়ারের দিক থেকে আমেরিকার থেকেও এগিয়ে রয়েছে রাশিয়া। এই রকম শক্তিশালী একটি দেশ রাশিয়া। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, তারা ইউক্রেনের সঙ্গে টানা দু বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তারপরও কিন্তু পরাস্ত করতে পারেনি ইউক্রেনকে। কেন একটি ১৮তম স্থানে থাকা ইউক্রেনকে দ্বিতীয়তম স্থানে থাকা দেশ কাবু করতে পারছে না? এর পিছনে রয়েছে একটি গুরত্বপূর্ণ বিষয়। তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে ইউক্রেনের যিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তিনি কোনওভাবে রাশিয়ার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক খারাপ করতে চাননি। কিন্তু পশ্চিমি শক্তিশালী দেশ তারা একছত্র ক্ষমতার জন্য রাশিয়াকে দুর্বল করার চেষ্টা করছিল। আর দুর্বল করার জন্য রাশিয়াকে একটি যেকোনও যুদ্ধে যদি লিপ্ত করে দেওয়া যায় তবে অর্থনৈতিকভাবে এবং সামরিকভাবে রাশিয়া অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে। ফলে ঘুরপথে ইউক্রেনের তৎকালীন প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে অন্য জেলেনস্কিকে প্রেসিডেন্ট করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি টোপ দেওয়া হয়, ইউক্রেনকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এদিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, জো বাইডেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে থেকেছে। ইউক্রেনকে সামরিক শক্তি দিয়ে সাহায্য করেছে। পশ্চিমি দেশগুলি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর প্রত্যেকেই চাপ সৃষ্টি করেছে। তাই ইউক্রেন বহু দেশের থেকে সহযোগিতা পেয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া শক্তিশালী দেশ হওয়া সত্বেও ইউক্রেনকে বাগে আনতে পারেনি।
অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়া হল। ছাত্ররা যে যে শর্ত রেখেছিল সরকারের কাছে, শেষ পর্যন্ত তাই মেনে নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু তারপরও দেশ ছাড়তে হল শেখ হাসিনাকে। পরে বাংলাদেশের মসনদে বসলেন মুহম্মুদ ইউনূস। তারপরই ভারত বিরোধী জিগার।
এখানেই ষড়যন্ত্র দেখছেন অনেকে। তবে কি বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী দেশ ভারতকে দুর্বল করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ লাগাতে চাইছে? যাদের শক্তি অনেক বেশি করে ক্ষয় করা যায়। যেমনটা রাশিয়ার-ইউক্রেনের যুদ্ধের ক্ষেত্রে করেছিল পশ্চিমী দেশগুলি? উঠছে প্রাসঙ্গিক সব প্রশ্ন।
Discussion about this post