বাংলাদেশে চলছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। যার প্রধান মহম্মুদ ইউনূস। কিন্তু এই সরকার নির্বাচিত সরকার নয়। কোনওভাবে পরিস্থিতি সামলানোর জন্য মহম্মুদ ইউনূসকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক মহল মনে করছে, গোটা দেশের রাশ বা নিয়ন্ত্রণ যে ইউনূসের হাতে রয়েছে তা কিন্তু নয়। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কার্যকলাপ যেভাবে বাংলাদেশে বেড়ে চলেছে, যেখানে আগামী নির্বাচনে যেতে গেলে তাদেরকে সমর্থন না করলে ইউনূস অন্তবর্তী সরকারের প্রধানই থাকবেন। যদি ইউনূসের ইচ্ছে থাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার তাহলে এই ধরণের ঘটনা বাংলাদেশে এই ঘটনা সমর্থন করে একটা সমর্থন পাওয়ার জায়গা তৈরি হচ্ছে। আর সেটা করতে গিয়েই কি সংখ্যালঘুদের উপর দেদার অত্যাচার চলানো হচ্ছে? এই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রসঙ্গ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পিছনে জামাতের একটি গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু এইবার নতুন সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলি নিজেদের মেলে ধরতে মরিয়া চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আর তার থেকেই বাংলাদেশে বড়সড় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা। আর এই জঙ্গি হামলার পিছনে কারা করা রয়েছে, এই প্রশ্ন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
পর্যটকদের সর্তক করে অ্যাডভাইজারি যুক্তরাজ্যের। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহি, কুমিল্লা, বড়িশাল-সহ বড়বড় শহরে বাড়ছে জঙ্গি সক্রিয়তা। এমনটাই চাঞ্চল্যকর খবর। শেখ হাসিনা সরকারের জমানায় ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের গ্রেফতার করে জেলে দিয়েছিল। এই বিষয়ে বাংলাদেশের এক সেনাকর্তা জানান, এখন সকলে আতঙ্কিত দেশে। ক্ষোভের প্রকাশ করলে পিটিয়ে মারা লহতেল পারে বলে মানুষ বুঝতে পেরেছে। সেই কারণে কেউই ঝুঁকি নিচ্ছে না। বাংলাদেশে ইসকন মন্দিরের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার হয়ে আদালতে কাউকে সওয়াল করতে দেওয়া হচ্ছে না। যে আইনজীবী সওয়াল করতে যাচ্ছেন তাকে মারধর, হুমকি পেতে হচ্ছে। তাই ওই সন্ন্যাসী জামিন পাচ্ছেন না। তার জেরে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ বেড়ে চলেছে দ্রব্য মূল্য। আমজনতার নাভিশ্বাস উঠছে। কিন্তু হেলদোল নেই সেখানকার প্রশাসনের।
বিগত কয়েক মাসে বাংলাদেশে জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত, তা কার্যত বুঝতে পারছে দেশবাসী। প্রশাসনের সাহাষ্য চাইলেও তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। এই নিয়ে আন্তজার্তিক মহলেও নিন্দার ঝড় বইছে। নোবেলজয়ী মহম্মুদ ইউনূস, যিনি শান্তির জন্য নোবেল পেয়েছিলেন, কিন্তু তার দেশেই উত্তাল পরিস্থিতি। জ্বলছে পদ্মাপার।
এদিকে সতর্ক হচ্ছে ভারতও। যাতে কোনওরকমভাবে সে দেশের জঙ্গি এদেশে অবাধে প্রবেশ করতে না পারে। কড়াকড়ি করা হচ্ছে। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে সীমান্তের থানাগুলিতেও। লালবাজার সূত্রের খবর, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ পৌঁছেছে থানাগুলিতে। তাতে বলা হয়েছে, যিনি পাসপোর্টের আবেদন করছেন, তার দেওয়া প্রতিটি নথি ভালো করে যাচাই করে নিতে হবে। সমস্ত আইকার্ড যেমন, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড-সহ প্রয়োজনীয় নথি শুধু যাচাই করলেই হবে না, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আদৌ সেই ঠিকানায় থাকেন কিনা, তিনি কোনও অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত কিনা এবিষয়ে নিশ্চিত হতে তাঁর বাড়িতেও সরোজমিনে গিয়ে তথ্য যাচাই করে আসতে হবে।
Discussion about this post