পাকিস্তান পরমানুর অনুতে আগুন লাগিয়ে, ভারতের নজরে এবার বাংলাদেশ। যে কোন দিন বাংলাদেশে নামতে পারে ভারতের সেনা। হাসিনাকে পাশে বসিয়ে ওয়াকারকে জানিয়ে দিলেন ভারতের এনএসএ অজিত ডোভাল।
ওয়াকারের ভালোমানুষির গল্প আর শুনবে না ভারত।ভারতের ধৈর্য্যের পরীক্ষা যেন আর না নেয় বাংলাদেশ। ভারতের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙলে কি হবে, ডোভালের এক ফোনেই বুঝে গেছেন সেনাপ্রধান। সেনাপ্রধানকে কিছু বলতে না দিয়ে মুখের উপর ফোন কেটে দেওয়ায়, তিনি যে আর খুব একটা বেশী সময় পাবেন না তাও বুঝে গেছেন ওয়াকার। কারণ ভারত অনেক দিন সেনাপ্রধানের উপর ভরসা রেখেছিল, এখনও সেই ভরসা রয়েছে। কিন্তু সেটা আর কতদিন থাকবে তা বলা মুশকিল। অর্থাৎ যে কোন দিন বাংলাদেশে ঢুকবে ভারতের সেনা। আর স্বাধীনতার চু্ক্তিতে সেই অধিকার রয়েছে ভারতের। সেনাপ্রধান যদি চুপচাপ, ইঙ্কু পিঙ্কুদের অন্যায় চোখ বন্ধ কের মেনে নেয়, তাহলে ভারত সেই বন্ধ চোখ খুলে দেবে, বাংলাদেশে ঢুকে। এটা মহাভারতের যুগ নয়।
যে দেশকে ধ্বংস করেও সেনাপ্রধানকে ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা রক্ষা করতে হবে । সেনাপ্রধান বলেছিলেন আমার অন্য কোন আকাঙ্খ্যা নাই। দেশটাকে একটা ভালো জায়গায় রেখে সেনানিবাসে ফিরে যেতে চাই। কিন্তু দেশ যখন চরম অস্থিরতা এবং উগ্রবাদের স্থীকার তখন সেনপ্রধান দেশ ভ্রমনে ব্যস্ত।কি মনে হয় আপনাদের, সেনাপ্রধান কি তার দায়িত্ব পালন করছেন। ভারত মনে করে, সেনাপ্রধান তার দায়িত্ব ঠিক ঠিক পালন করেছে না। তাহলে যে দল দেশকে স্বাধীনতা এনে দিল, এখন সেই দলটাই অবৈধ। এর ফলে যদি ৪০ শতাংশ আওয়ামীলীগ সমর্থিত মানুষ রাস্তায় নামে, তখন যে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হবে, সেটা সামলাবে কে। অনেক রাজাকারই চাইছে গৃহযুদ্ধ লাগুক। তাহলে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা আরও কমানো যাবে। কিন্তু ভারত সেটা হতে দিবে না। পাকিস্তানকে দেখে শিক্ষা না হলে, তাহলে ফল ভোগ করার জন্য তৈরী থাকতে হবে। যারা বলছিল ভারত আমেরিকার চাপে যুদ্ধ বিরতি ঘোষনা করেছে, তারা কি জানে পাকিস্তানের পরমানুর অনু পরমানুতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে ভারতের ব্রম্ভোস।অনেকেই মনে করেন নুরখান এয়ারবেস,যেখানে প্যারাশুট প্রশিক্ষন দেওয়া হত,এবং আপাত কালীন সময়ে আমেরিকার সাহায্য এই এয়ারবেসে অবতরন করত, তা কখন আমেরিকার দখলে চলে গেছে। আর সেই এয়ারবেসের নিচে ছিল পারমানবিক সামগ্রী। যেখানে হয়তো একশো বছর কেন হাজার বছরেও কেউ যেতে পারবে না। এখন সেনাপ্রধানের কাছে প্রশ্ন আপনার দেশ এখন কোন ভালো জায়গায় আছে, প্রতিটি স্বাধীন জাতির একটা গৌরবময় ইতিহাস থাকে যাকে বলা হয় গৌরব গাঁথা।অর্থাৎ যা নিয়ে দেশের মানুষ গর্ব করে।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যা হল মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস। শুধু বাংলাদেশ নয়,যাকে গর্বের সঙ্গে সম্মান করে সারা বিশ্ব । আজ পাকিস্তান পন্থীরা এতটাই হাবি হয়েছে যে সেই মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস মুছে দিতে ৭১ কে ভুলিয়ে ২৪ কে আসল স্বাধীনতা বলছে। ২৪শের আন্দোলোনে নিজেরাই নিজেদের মেরে মৃত্যুর দায় চাপিয়েছে হাসিনার উপর। আর এটি যদি মিথ্যে হয়, কবর থেকে দেহ তুলে ময়না তদন্ত করে প্রমান করুক টুকাইদের সরকার, যে সরকারী দমন পীড়নের ফলেই ১৪০০জন মারা গেছেন। আর সেই ১৪০০ জনের বদলে শুধু মাত্র পুলিশ হত্যা করা হয়েছে ৩৫০০ জন।আওয়ামীলীগ কর্মী এবং সংখ্যালুঘুদের সংখ্যাটা বাদই দিলাম।লুঠ করা হয়েছে সমস্ত অস্ত্র শস্ত্র। কারা স্বৈরাচারী, পাকিস্তানের রক্ত যাদের শরীরে বইছে, নাকি যারা পাকিস্তানের অত্যাচার থেকে দেশ বাঁচাতে রক্ত দিয়েছে। যে রাজাকারেরা হায়নার থেকেও ভয়ঙ্কর ছিল, তারা আবার দাঁত নখ বার করতে শুরু করেছে। আর ভারত থেকে কিছু বললে বলবে আমাদের দেশ নিয়ে তোমাদের এত মাথা ব্যাথা কিসের।যারা একথা বলবেন, তাদের বলি হাজার বার বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের মাথা ব্যাথা আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কারণ ঐ বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় সৈনিকের রক্ত লেগে আছে। আর স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরী হওয়ার সময় যে চু্ক্তি হয়েছিল ভারতের সঙ্গে তা অস্থীকার করার কোন উপায় নেই বাংলাদেশের। আর সেই চু্ক্তিটি হল যখনই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হবে। কোন সরকারী অনুমতি ছাড়াই ভারতীয় সেনা বাংলাদেশে ঢুকে অভিযান চালাতে পারবে। ইংরেজরা দেশ ছাড়ার সময় যেমন কংগ্রেসের সঙ্গে অনেক অন্যায় চুক্তি করেছিল, যা ভারত মানতে বাধ্য, তার মধ্যে যেমন একটি হল সুভাষ চন্দ্র বোসকে জীবিত অথবা মৃত যে অবস্থায় পাওয়া যাবে সেই অবস্থায় ইংরেজদের হাতে তুলে দিতে হবে। এটি নিয়ে অনেক সমালোচনা হতে পারে, কিন্তু অমান্য করার উপায় নাই। ঠিক তেমন বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময় ভারতের সঙ্গে যা যা চুক্তি হয়েছে তা অস্থীকার করার কোন উপায় নেই বাংলাদেশের কাছে। তাই ভারতের ধৈর্য্যের পরীক্ষা যেন আর না নেওয়া হয় তাই মনে করিয়ে দিয়েছেন ডোভাল।
Discussion about this post