ভারতের পৌষমাস, ইউনুসের সর্বনাশ! বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি হল পোশাক শিল্প বা গারমেন্টস ইন্ডাস্ট্রি৷ এবার সেই ভিত্তিতেও অশনি সংকেত। তবে কি পাকিস্তানের মত দেউলিয়া দেশে পরিণত হয়ে অর্থনীতি একেবারেই তলানিতে ঠেকতে বসেছে বাংলাদেশের? কী ভাবছে ইউনুস প্রশাসন?
বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের আকার ধারণ করেছিল চলতি বছরেই। যাকে জুলাই অগাস্ট বিপ্লবও বলা হয়ে থাকে। সেই আবহেই পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মূলত সংস্কার প্রতিষ্ঠার জন্যই নতুন তদারকি সরকার গঠন করা হয়েছিল সে দেশে। কিন্তু সংস্কার তো দুরস্ত অশান্তি সংঘর্ষ বিপ্লব কিছুই থামলো না। বরং দিন দিন উত্তপ্ত হয়েই চলেছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। হামলা ভাঙচুর গোলাগুলি ও বিস্ফোরণ সবই চলছে ওপার বাংলায়।
ভারত বিদ্বেষ ছড়িয়ে পরছে দেশের সর্বত্র। হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, থেকে শুরু করে হিন্দু মন্দির ভাঙচুর বিস্ফোরণ সবটাই কট্টরপন্থী মৌলবাদী সংগঠনের মস্তিষ্কপ্রসূত। এছাড়া সংগঠন গুলির পিছনে সমর্থন রয়েছে ইউনুস প্রশাসনেরও। হুকার আসছে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল দখলের।
এবার সেই আবহেই সর্বনাশ বাংলাদেশের, আর ভারতে পৌষমাস!
আমরা সকলেই জানি, বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি পোশাক শিল্প ৷
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বা গারমেন্টস ইন্ডাস্ট্রি সারা পৃথিবীতে চিনের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিখ্যাত ইন্টারন্যাশানাল ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে পোশাক তৈরি করায়। পরে এসব পোশাক সারা পৃথিবীর বিভিন্ন বড় বড় শোরুমে বিক্রি হয়। পরে এসব পোশাক দেশের বড় বড় শোরুমে বিক্রি হয়।
এই অস্থির পরিস্থিতিতে সেই শিল্পক্ষেত্রটিই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সংখ্যালঘুদের উপর বাড়তে থাকা আক্রমণ, শিল্পের মধ্যে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে চলেছে, যার জেরে বেশ কয়েকটি কোম্পানি এখন বন্ধ হওযার পথে।
উল্লেখ্য, সেদেশে চলমান অস্থিরতার প্রভাব পড়ছে ব্র্যান্ডের ব্যবসা গুলিতে। অনেকেই এখন তাদের চাহিদা মেটাতে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কমাতে,ভারতীয় নির্মাতাদের দিকে ঝোকার চেষ্টা চালাচ্ছে ।
গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের জিডিপি-র একটা বড় অংশ তা সকলেই জানি। বাংলাদেশের জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী এই পোশাক শিল্প, যা ২০২৪ সালের হিসাবে ১১ শতাংশ। এবং আয়ের আনুমানিক ৮০ শতাংশ আসে রফতানি থেকে।
তবে পোশাক শিল্প ক্ষতির সম্মুখীন হলে যা দেশকে ভারী ঋণ নিতে বাধ্য করবে। এ ধরনের পরিস্থিতি বাংলাদেশকে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পতনের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে।
ইকোনমিক টাইমস দাবি করেছে, যে সুরাতের পোশাক শিল্পে ব্র্যান্ডগুলির আগ্রহ বেড়েছে বর্তমানে।
ইন্ডাস্ট্রির অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিদের মতে, বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডগুলি পরিধানের জন্য প্রস্তুত পোশাক উৎপাদন এবং সরবরাহ সম্পর্কে অনুসন্ধান করছে। যদি এই অনুসন্ধানগুলি আদেশে পরিণত হয়, সুরাটের পোশাক শিল্পের বৃদ্ধির হার প্রতি বছর বর্তমান ১২ শতাংশ থেকে ২০-২৫ শতাংশে বাড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের এক সময়ের বন্ধু ভারতকে আজ তারা শত্রু হিসাবেই দেখছে। আর অন্যদিকে পাকিস্তানের মত দেউলিয়া হওয়া দেশকে বন্ধু ভাবছে। আশাও রাখছে তাঁদের থেকে সামরিক ও বাণিজিক ক্ষেত্রে সহায়তার।
Discussion about this post