গণ অভ্যুত্থানের পর নোবেল জয়ী ড. মোহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের ক্ষমতায়। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও বদল ঘটেনি। বরং দিনে দিনে অশান্তি বেড়েই চলেছে। এদিকে স্থায়ী সরকার গঠনের জন্য তেমন কোন পরিকল্পনা বা উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না ইউনূসের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে বিএনপি সহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলগুলি চাইছে ২০২৫ এর ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন হোক। এই বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু প্রত্যেকবারই নির্বাচন নিয়ে আশ্বস্ত হতে পারেনি। কারণ প্রধান উপদেষ্টা চাইছেন ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ এর জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন করতে। এরই মাঝে দেখা যাচ্ছে, নতুন কয়েকটি রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি কথা হচ্ছে এনসিপি বা জাতীয় নাগরিক পার্টিকে নিয়ে। তবে অনেকে বলছেন, এটা তো গেল বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। আসলে মোহাম্মদ ইউনূস বেশি চাপে রয়েছেন সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈদেশিক যোগাযোগ ক্ষেত্রে। শোনা যাচ্ছে, চীনে সি জিন পিং কে কয়েকটি সেনা ঘাঁটি তৈরির জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেনি চীন। শোনা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী অত্যন্ত সক্রিয়। বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং টেকনাফে সেনা পরিকাঠামো লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, টেকনাফে একটি গড়ে তোলা হচ্ছে লজেস্টিক বেস। এর মাধ্যমে নাকি আরাকান আর্মি এবং চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের মতো বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের জন্য খাদ্য, ওষুধ বা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের রসদ সরবরাহ করা হবে। এদিকে খবর পাওয়া যাচ্ছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরের কাজ নাকি শেষের পথে। বাংলাদেশে সেনাপ্রধানের পরিকল্পনা, এটাকে ড্রোন ঘাঁটিতে পরিণত করা হবে। যেখানে তুরস্কের মতো দেশের ড্রোন ব্যবহার করা হবে। এই ঘাঁটি রাখাইন রাজ্যে তথ্য সংগ্রহের জন্য ভূমিকা পালন করবে। খবর পাওয়া যাচ্ছে, আরাকান আর্মি এবং চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রতিনিধিরা ঢাকাতে অবস্থান করছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র কূটনৈতিকরা সামরিক কর্তাদের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করছেন। এমনকি শোনা যাচ্ছে, যুদ্ধের বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে একটি পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। এর মাধ্যমে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আশি হাজার রাখাইনে দুটি অঞ্চলে ফিরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশে অন্তবর্তী সরকারের আমলে ইতিমধ্যেই প্রত্যাবর্শনকারীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলে কৌশলগতভাবে পরিচালনা করতে পরিকল্পনা চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কিছুদিন আগে যে ভি ভাওউয়েল ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান এর বৈঠকের সাম্প্রতিক বৈঠক এই কৌশলের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত বাংলাদেশ, আমেরিকার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির জোট যদি সত্যিই বাস্তবে সক্রিয় হয়, তবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বড় পরিবর্তন আসতে পারে। শুধু সামরিক ক্ষেত্রে নয়। বহু অংশে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে এখন দেখার, আদও বিশ্ব রাজনীতিতে এর প্রভাব পড়ে কিনা।
বাংলাদেশের পলাতক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে মেজর সুমন আহমেদ এর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত কি বাংলাদেশ...
Read more
Discussion about this post