দোড়গড়ায় লোকসভা নির্বাচন। যত দিন এগোচ্ছে ভোট প্রচারের ঝাঁঝ ততই বাড়ছে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তীব্র দাবদাহ। চাঁদি ফাঁটা গরমকে উপেক্ষা করে জোড় কদমে প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। কারণ এই কেন্দ্রে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাংশু ভট্টাচার্য ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে জমে উঠেছে ত্রিমুখী লড়াই। নির্বাচনের দিন এগিয়ে যতই এগোচ্ছে ততই বাড়ছে প্রচারের হিড়িক।
তমলুক কেন্দ্রের নানান দিকে দিকে চলছে তিন প্রার্থীর প্রচার পর্ব। এই তিন প্রার্থীই তাঁদের প্রচারের মাধ্যমে তমলুকের অলিগলিকে একেবারে হাতের মুঠোর মধ্যে পুড়ে ফেলেছে, তা বলাই যায়।। এরই মধ্যে সোমবার সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার চলাকালীন অবাক করা কাণ্ড ঘটালেন এক ব্যক্তি।যা তিনি কল্পনাতেও আনেননি কখনও। কিন্তু কি সেই ঘটনা। শোনাবো…
সোমবার সকালে নন্দকুমারবাজারে প্রচার করবেন তমলুক কেন্দ্রের বামপ্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেকথা আগে থেকেই জানতেন দলের নেতা-কর্মীরা। এলাকায় প্রচার চলাকালীন আচমকাই সায়নের হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন এক ব্যক্তি। জানা যায়, নন্দকুমারের বাসিন্দা অশীতিপর চণ্ডীচরণ প্রামাণিক। অবসরপ্রাপ্ত এই স্কুল শিক্ষক এদিন অসুস্থতাকে দূরে সরিয়ে রেখে সামিল হয়েছিলেন সায়নের প্রচারে।
কিন্তু কেন দিলেন এতো টাকা ? উত্তরে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক জানান, খবরে শুনেছেন নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন দল রাজনৈতিক দল কোটি কোটি টাকা তুলেছে। শুধুমাত্রই বামেরা কোনও টাকা নেয়নি। তাই তমলুক কেন্দ্রে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারে খরচের জন্য এটা তাঁর এই সামান্য দান। নির্বাচনী খরচের জন্য ওই অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের টাকা সাড়ম্বরে গ্রহণের করেন তিনি। যদিও এ বিষয় সায়ন জানান, সাধারণ মানুষ মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছে যে কোন কোন দল নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে টাকা তুলেছে। বামেরাই একমাত্র নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোনও টাকা নেয়নি। এমনকি বামেদের করা মামলাতেই নির্বাচনী বন্ডে কারা কারা টাকা নিয়েছে, সেই সব তথ্য উঠে এসেছে। তাই সাধারণ মানুষ নির্বাচনে খরচ করার জন্য আর্থিক সহায়তা করেছেন। জনগণের এই সহায়তা নিয়ে আসন্ন নির্বাচনে বামেরা জয়ী হবে, বলে আশাবাদী তিনি।।
নির্বাচনী বণ্ড থেকে কোন কোন দল কত পেয়েছে, তা নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্যনীতি। সেই আবহেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের এহেন কর্মকাণ্ডে আলাদা নজির গড়েছে বাম, তা বলাই যায়।
Discussion about this post