বিমান যাত্রা ব্যয়বহুল বলে অনেকেই বিমানে সচারাচর যাতায়াত করেন না। তবে পরিবারের সবাইকে নিয়ে দূরে কোথাও ভ্রমণের ক্ষেত্রে আমরা বিমানের সুবিধা প্রায় নিয়ে থাকি। বিমানে যাত্রা সময়কে বাঁচায়। খুব কম সময়ে, দ্রুত আমরা একস্থান থেকে অন্য স্থানে অনায়াসেই চলে যেতে পারি। কিন্তু বিমান যাত্রায় বিভিন্ন নিয়মকানুন থাকে।
বিমানে যেমন একটা নির্দিষ্ট ওজনের জিনিস ক্যারি করা যায় তেমনি খাবার দাবার নেওয়ার ক্ষেত্রেও বিমানে বিশেষ নিয়ম আছে। যেমন নুডলস, ম্যাগি, পরোটা ইত্যাদি নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু বেশ কয়েকটি খাবারের নিষেধাজ্ঞা আছে যেমন আচার, তেল, ঘি, অ্যালকোহল, সস, পান, পোস্তর মতন খাবার আপনি নিয়ে যেতে পারবেন না।
তেমনি বিমান যাত্রাকালীন খাবার দাবারে বিশেষ সতর্ক হওয়া দরকার। এমন কিছু কিছু খাবার আছে, যেগুলি আপনি যদি বিমানে খান, তাহলে শরীরের নানান রকম ক্ষতি হতে পারে। মাঝ পথে বিমানে শরীর অসুস্থ হতে পারে। কারণ বেশি উচ্চতার কারণে বিমানে উঠলে অনেকের মধ্যে বমি হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। বেশি ছাড়াও মাথা ঘোরা, গা গলানোর মত সমস্যাও দেখা যায়। তাই বিমান বন্দরে গিয়ে যদি আপনি বিশেষ কয়েকটি খাবার খান তাহলে এই শারীরিক অস্বস্তি আরও অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। বিমান যাত্রাকালে কোন কোন খাবার গুলি একদমই এড়িয়ে চলবেন?
স্যান্ডউইচ
বিমানবন্দরে এসে অনেকেই স্যান্ডউইচ খান। এর ফলে বিমান চলাকালীন তাদের নান রকম শারিরীক সমস্যা হয়। কারণ স্যান্ডউইচ তৈরি হয় পাউরুটি দিয়ে, যা বেশ কয়েকদিনের পুরনো হতে পরে। যা খেলে আমাদের দ্রুত গ্যাস, অম্বলের মতন সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বিমান যাত্রা করতে হলে বিমান যাত্রাকালীন স্যান্ডউইচ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
পিৎজা
অনেকেই পিৎজা খেতে ভীষন ভালোবাসেন। কারণ একটা পিৎজা খেয়ে নিলে পেট ভরে যায়, এবং বেশিভাগ মানুষের কাছে সেটি স্বাস্থ্যকর খাবার। তাই এই খাবার খেলে বমির ভাব বাড়তে পারে।
স্যালাড
বিমানে ওঠার আগে ভুলেই স্যালাড খাবেন না। কারণ স্যালাড কাঁচা সবজি দিয়ে তৈরি, আর কাঁচা সবজি আমাদের শরীরে অস্বস্তি বৃদ্ধি করতে পারে। তাই বিমান যাত্রার সময় যদি বেশি করে স্যালাড খাওয়া হয় তাহলে উচ্চতায় ওঠার সাথে সাথে বমি ও গা গলানোর মতন সমস্যা তৈরি হতে পারে।
চকলেট
অনেকেই বিমান বন্দরে বসে মিষ্টি চকলেট জাতীয় খাবার খান। বিমান যাত্রা আগে চকলেট জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়া একান্ত প্রয়োজন। কারণ চকলেট মিষ্টি জাতীয় খাবার তাই এই খাবার আমাদের শরীরে সুগারের লেভেলকে বাড়িতে তোলে। মাত্রাতিরিক্ত চকলেট খেয়ে বিমানে উঠলে মাথা ঘোরা, বমির সমস্যা বাড়তে পারে।
কাঁচা ফল ও সবজি
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা বিমানবন্দরে বসে কাঁচা ফল খাই। কারণ ফল আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু কাঁচা ফল বা সবজিতে ব্যাক্টেরিয়া থাকে যা বিমান যাত্রাকালীন আমাদের নানান রকম সমস্যার সম্মুখীন করতে পরে। ফলে আমাদের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই বিমান বন্দরে কাঁচা ফল কিংবা সবজি এড়িয়ে চলা উচিত।
Discussion about this post