এরা চাকরি খেঁকো বাঘ। এসএসসি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি যাওয়ার জন্য নাম না করেই দেশের মোদী সরকারকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রী মমতার।
সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে গিয়েছে এসএসসি মামলা। গত সপ্তাহে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলটাই বাতিল করে দিয়েছে। বিচারপতিদের কলমের খোঁচায় নিমেষে চাকুরিজীবী থেকে চাকরিহারা হয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। রবিবার সুজাপুরে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি এরা চাকরি খেঁকো বাঘ। রাজনৈতিক স্বার্থে বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নাম না করেই রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি যাওয়ার জন্য যাবতীয় দায় চাপালেন মোদী পরিচালিত কেন্দ্র সরকারের ঘাড়ে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একে একে জেলে গিয়েছেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মানিক ভট্টাচার্যরা। চাকরি হারিয়েছেন মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে কাড়ি কাড়ি টাকা। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে পার্থ। জেলে রয়েছেন তাঁর বান্ধবীও। এতদ সত্ত্বেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মমতা সরকার অভিযোগ তুলে থাকে, সবটাই রাজনীতি। এমনি বিচার ব্যবস্থাকেও টেনে নামানো হচ্ছে রাজনীতির ছত্রছায়ায়। এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আঙুল তোলার পাশাপাশি রাজ্যের বিচারব্যবস্থাকেও নিলেন একহাত।
বিগত কয়েক বছরে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। তাই একঢিলে দুই নিশানা রেখেছে তৃণমূল। রাজ্যে না হলেও ইন্ডিয়া জোটকে জাতীয় স্তরে সমর্থন রেখে কেন্দ্র থেকে মোদী সরকারকে উৎখাত করতে বদ্ধ পরিকর মমতা সরকার। যদিও বিজেপির দাবি মাত্র ৪২ আসন পুঁজি করে কেন্দ্র থেকে মোদী সরকারকে হটানোর পরিকল্পনা দিবাস্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়। তবু মমতা আছেন মমতাতেই। চাকুরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর নামে পুরোটাই ভোট রাজনীতি করে গেলেন। বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
Discussion about this post