বুধবার সন্ধ্যায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয় নবান্নে। বৈঠক শেষের আরও দু’ঘণ্টা পর জুনিয়র ডাক্তাররা বেরোন। সূত্রে মারফৎ জানা গেছিল, তাঁদের অধিকাংশ দাবিই সরকার মেনেছে। তাই অনুমান করা হচ্ছিল তাঁরা কর্মবিরতি তুলে নেবেন। কিন্তু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা স্পষ্ট করলেন, এখনই উঠছে না অবস্থান-বিক্ষোভ। আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতো বলেন, ”সব দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু বৈঠকের পর মিনিটস দেননি মুখ্যসচিব। শুধু মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। আর আমাদের সব দাবিগুলিকে ফের খসড়া আকারে ইমেলে পাঠাতে বলেছেন।” প্রসঙ্গত বুধবার সন্ধে ৭.৩৫ মিনিটে নবান্নে প্রবেশ করে জুনিয়র ডাক্তাররা। ৭.৪০ থেকে ৯.৪০ পর্যন্ত বৈঠক হয়। তারপর রাত ১২.২০ পর্যন্ত মিনিটস লেখার কাজ চলে।
ডাক্তারদের মূলত ৫ দফা দাবি ছিল। রাজ্য সরকার একটি বাদে সবকটি মেনেছে বলেই খবর ছিল। কিন্তু নবান্ন থেকে বেরিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা একেবারে স্পষ্টভাবেই দাবি করেন, বৈঠক সদর্থক হলেও তাঁরা হতাশ। মৌখিক আশ্বাস ছাড়া কিছু মেলেনি। একইসঙ্গে তাঁরা এটাও বলেন, এখনই কাজে ফিরতে চান সকলে। কিন্তু কোনও না কোনওভাবে সরকারের তরফে সদিচ্ছার অভাব দেখা যাচ্ছে। তাই তাঁরা হতাশ। সবমিলিয়ে প্রায় ৫ ঘণ্টার আলোচনা শেষেও কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি বুধবার। নবান্ন থেকে বেরিয়ে স্বাস্থ্যভবনের সামনে বিক্ষোভস্থলে ফিরে গেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। অনিকেত মাহাতো জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারই সরকারের তরফে কিছু ডিরেক্টিভ পাঠানো হবে তাঁদের। সেটা দেখার পরই অবস্থান-বিক্ষোভ বা কর্মবিরতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। আন্দোলন কোন পথে যাবে, সেটারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Discussion about this post