ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার আট মাস পর আবারও খবরের শিরোনামে আরজিকর কান্ড! অভয়ার দেহ উদ্ধারের কিছু মাস পর একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে নির্যাতিতার ফোন নম্বর ‘লিভ’ করেছে বলে দাবি। আবারও উঠে এলো এক চঞ্চল্যকর তথ্য। আরজি কর মামলায় আদালতে প্রমাণ পেশ করে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন নিহত চিকিৎসকের পরিবারের আইনজীবী।
সোমবার শিয়ালদহ আদালতে আর জি কর ধর্ষণ-খুনের মামলায় তৃতীয় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। আর ঐদিনই আদালতে মামলা চলাকালীন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন নির্যাতিতার পরিবার। ধর্ষণ ও খুনের পর নির্যাতিতার ফোন সিবিআই হেফাজতেই ছিল আর সেই সময় তা ব্যবহার করা হয়েছে, প্রমাণ লোপাটের জন্য আরজি কর মামলায় আদালতে প্রমাণ পেশ করে বিস্ফোরক দাবি অভয়ার পরিবারের আইনজীবী।
মামলা চলাকালীন আদালতে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীর ঘটনার আগে, ঘটনার পরে কী হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে একটি সিনোপসিস তৈরি করে পেশ করা হয়।
আর আইনজীবীর দাবি, বর্তমানে নিহত চিকিৎসকের মোবাইল কোনটি সিবিআই হেফাজতেই আছে। আর এখনও আদালতে সিবিআই দাবি করছে নির্যাতিতার মোবাইল ফোন খোলা হয়নি। কিন্তু দেখা গিয়েছে ৯ অগাস্ট নির্যাতিতার মৃত্যুর তিন মাস পর একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে নির্যাতিতার ফোন নম্বর ‘লিভ’ করেছে। আর এই খবরটি জানানো হচ্ছে নিহত চিকিৎসকের ডাক্তার বন্ধুদের তরফেই। এই সমস্ত কার্যকলাপের চালিয়ে স্টেটাস রিপোর্টে আসল জায়গা থেকে নজর ঘোরাচ্ছে সিবিআই দাবি নিহত চিকিৎসকের পরিবারের তরফের আইনজীবির। যদিও সিবিআই-এর তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো রকম মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।
পাশাপাশি এদিন আদালতে দেওয়া স্টেটাস রিপোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, আরজি কর মামলায় নতুন করে ১২ জন সব থেকে জেরা করার কথা উল্লেখ করা হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে ১০০র বেশি অভিযোগ জমা পড়েছিল, সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঘটনার পরবর্তী ২০০টি ফটো ও ভিডিও ক্লিপ ।
প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট, ২০২৪, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার ভয়াবহতা আজও স্পষ্ট গোটা বিশ্বের কাছে । মানুষ বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে বারে বারেই। গর্জে উঠেছে কলকাতা থেকে বিশ্বের নানা প্রান্ত। সময় এগিয়েছে প্রতিবাদও স্থিমিত হয়েছে। তবে এখনও মেলেনি অভয়ার বিচার।
Discussion about this post