বৈশাখের প্রায় শেষ , কয়েকদিন কলকাতা সহ বেশ কয়েকটি জেলায় , কয়েক পসলা বৃষ্টি হওয়ায় পারদ কিছুটা হলেও কমেছে।কিন্তু গরম সেভাবে বিদায় নেয়নি।এখনো আবহাওয়া বেশ গরম।এই গরম থেকে বাঁচার জন্য আমরা ঠান্ডা পানীয়, ফ্রিজের মিষ্টি ফল, সিজেন জাতীয় রসালো ফল, এসবেই নজর রাখছি বেশি।বিশেষ করে আমের প্রতি সবারই বিশেষ আগ্রহ।আম একটি সুস্বাদু জাতীয় মিষ্টি ও রসালো ফল।কিন্তু নিয়ম মাফিক এই ফল না খেলে রক্তে বেড়ে যায় শর্করার পরিমান।আমে প্রচুর পরিমানে শর্করা থাকে , তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ফল খুবই ক্ষতিকারক।তবে আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে,সঠিক সময় মেনে ফলটি খান, তবে রক্তে শর্করার পরিমান তেমন বাড়েনা।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাঁদের কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স-যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫০-এর বেশি। তাই রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডায়াবেটিস থাকলে বা রক্তে শর্করা বাড়তির দিকে থাকলে দিনে ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম পর্যন্ত আম খাওয়া যেতে পারে। তবে, দুপুরে বা রাতে খাবার খাওয়ার পর আম দিয়ে মিষ্টিমুখ করবেন না ।
আপনি যদি সকালে জলখাবার খাওয়ার পর থেকে দুপুরে মধ্যহ্নভোজের মাঝে কোনো এক সময় নিয়ম মাফিক আম খান,তবে রক্তে সেই পরিমান শর্করা বৃদ্ধি পাওয়ার ভয় থাকেনা। অপরদিকে, যাদের রক্তে শর্করার পরিমান কম তারা অনায়াসে এই গরমে স্বস্তি পেতে সুমিষ্ট এই ফলটি খেতেই পারেন , তবে সে ক্ষেত্রেও বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ, পাকা আম আমাদের ওজন বৃদ্ধ্বি করে।
আমে ক্যালরির পরিমাণ ভালোই। তাই যাঁরা ক্যালরি মেপে খান বা ডায়েট করেন, তাঁরা দৈনিক খাদ্যতালিকা থেকে আমের ক্যালরি পরিমাণ খাবার বাদ দিতে পারেন। এতে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। আম খেলে দ্রুত পেট ভরে ঠিকই, কিন্তু এটি দ্রুত হজম ও শোষণও হয়ে যায়। যাঁরা ডায়েট করছেন, তাঁদের আম সীমিত পরিমাণে খেতে হবে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, আমের শরবত, আইস ক্রিম, আমের চাটনি খেলে অবশ্যই মেদ বাড়বে। কারণ এতে অতিরিক্ত চিনি যোগ করা হয়। কিন্তু তাজা আম খেলে এমন সমস্যা কম।
তবে একটু বুদ্ধি করে খেলে , পাকা আম খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এক্ষেত্রে কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করা দরকার। সেক্ষেত্রে যে দিন আম খাওয়া হবে, সে দিন আর মিষ্টিজাতীয় অন্য কোনও খাবার যেমন কেক-পেস্ট্রি, রসগোল্লা, নরম পানীয় খাওয়া যাবে না। তা হলে এক সঙ্গে অনেকটা ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করবে না। এই সব পদ্ধতি অবলম্বন করে গরমে ,সিজেন কেন্দ্রিক এই সুমিষ্ট ফল টিকে খেতেই পারি আমরা , এবং গরম থেকে ক্ষনিকের স্বস্তি ও পেতে পারি।
২০১৯ সাল থেকে ২০২৪, গত পাঁচ বছরে একাধিক বার বউবাজার নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। আর দীর্ঘ দিন ধরেই...
Read more
Discussion about this post