মুষলধারে বৃষ্টি। কালো ঘণ মেঘে ঢেকেছে আকাশ। মাঝে মাঝেই মেঘের বুক চিরে ঠিকরে বের হচ্ছে বিদ্যুতের ঝলকানি। তার সঙ্গে মুর্হূর্মুহূ পড়ছে বাজ। এ দৃশ্য দেখা যায় গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমের সন্ধ্যায় হওয়া কালবৈশাখী, আবার বর্ষার প্যাচপ্যাচে ওয়েদারেও। সামান্য বৃষ্টিতেই লোডশেটিং হয় শহরতলী সংলগ্ন এলাকায়। একদিকে গাঢ় অন্ধকার অন্যদিকে মুষলধারে বৃষ্টিতে উঠোনে বসে চা খেতে খেতে মা- ঠাকুমাদের মুখে ভুতুরে গল্প শোনার মজাই আলাদা। তবে বিজ্ঞানের যুগে দাঁড়িয়ে বোকা বাক্স ও মুঠো ফোনের দুনিয়ায় মা-ঠাকুমাদের গল্প এখন অতীত। দিন যত উন্নতি হচ্ছে, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিপদ। মনে করুন, বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে সেই সময় আপনি ঘরে হোক কিংবা বাইরে, মোবাইলে ব্যস্ত। ঠিক সেই সময় আচমকাই ভীষণ জোড়ে বাজ পড়ল। তবুও আপনি ফোন নিয়ে ব্যস্ত। জানেন কি, আপনি কত বড় বিপদের সম্মুখীন হতে চলেছেন? শুনে ভয়ে বুক দুরুদুরু করছে তো? আজ আপনাদের এই প্রতিবেদনে জানাবো, বর্জ্যবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সময়ে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামকে কীভাবে রক্ষা করবেন সেই তথ্যই।
বাড়িতে ফ্রিজ, টিভি, ল্যাণ্ডলাইন ফোন, ওয়াইফাই রাউটার, মোবাইল ফোন-সহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক গ্যাজেট থাকলে তা সবার আগে বন্ধ বা সুইচ বোর্ডের থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন। শুধু তাই নয়, বাজ পড়ার সময় অবশ্যই মোবাইল বা ল্যাণ্ডলাইন ফোন কখনওই ব্যবহার করবেন না। বিশেষত, ল্যাণ্ডলাইন ফোন ও ওয়াইফাই রাউটার বাইরের তারের সঙ্গে যোগ থাকার ফলে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ব্যবহারকারী ওই ব্যক্তি গুরুতর জখম হতে পারেন। অন্যদিকে, বৃষ্টির সঙ্গে যদি বর্জ্রপাত হয় তাহলে আপনার হাতের মুঠোফোনকে অবশ্যই নিরাপদে রাখুন এবং সম্ভব হলে সুইচড অফ করে রাখুন। মনে করা হয়, বর্জ্রপাতকে বিশেষভাবে আকর্ষণ করে মোবাইল ফোন।
বিষেশজ্ঞরা বলছেন, এই ধারণা ভুল। মোবাইল বর্জ্রপাতকে আকর্ষন করে না। তবে বর্জ্রপাত হলে মোবাইল ফোন পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। ফলে যদি সেই সময় আপনি মোবাইল ফোন কানে কথা বলেন, তাহলে বিপদ হতেই পারে। শুধু তাই নয়, আপনার মোবাইলটি যদি নেটওয়ার্ক টাওয়ারের কাছে থাকে, তাহলেও বিপদ। কারণ, মোবাইলের টাওয়ারে বাজ পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এক কথায়, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় ঘরের বাইরে নয়, চার দেওয়ালের মধ্যে থাকাই বাঞ্ছনীয়।
Discussion about this post