লোকসভা ভোটের মধ্যে অগ্নিমূল্য বাজার। হু হু করে বাড়ছে, নিত্যপ্রযোজনীয় দ্রব্যাদি থেকে খাবার সবজির দাম।সবজির মধ্যে যেটা বহুল প্রচলিত, ‘আলু ‘ যেটা ছাড়া বাঙালিদের রান্না ঘর অচল, সেই ‘আলু’র বাজারজাত দাম আকাশ ছোঁয়া ।ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক মাসে আলুর মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে 12.72 শতাংশ। সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফ থেকে, খাদ্য দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল। যাতে দেখা গেছে মূল্যবৃদ্ধির হার ক্রমশই উর্দ্ধমুখী ।মার্চে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল 6.88 শতাংশ। এপ্রিলে যা বেড়ে 7.74 শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
14 মে সবজির মূল্যবৃদ্ধির হার প্রকাশ করে বাণিজ্য মন্ত্রক। সেই রিপোর্টেও সবজির দামের ক্রমশ আকাশ ছোঁয়া চিত্র দেখা গেছে। গত মার্চে সবজির দাম বেড়েছিল 19.52 শতাংশ। মে মাসে যা 23.6 শতাংশে পৌঁছায়। সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক মাসে আলুর মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে 12.72 শতাংশ। বাজারজাত আলুর দাম কেজি প্রতি 25.71 টাকা থেকে বেড়ে 28.98 টাকায় পৌঁছেছে। পাশাপাশি পেঁয়াজ ও টম্যাটোর দামও কেজি প্রতি বেড়েছে, বিশেষ করে পেঁয়াজের বাজারজাত দাম অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত এপ্রিল মাসে ১ কেজি পেঁয়াজের দাম ছিলো ২৯.৭৯ টাকা, যা এখন বেড়ে হয়েছে ৩১.৭০ টাকা। অন্যদিকে টম্যাটোর কথায় যদি আসা যায়, গড় দাম এখন বেড়ে হয়েছে ৩২.৫১ টাকা।সম্প্রতি বাণিজ্যিক মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সবজি থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্যের দাম রীতিমত আকাশ ছোঁয়া। সেখানে উর্দ্ধমুখী গ্রাফে সবার আগে স্থান পেয়েছে আলু । সবজির বাজারের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুতের দাম ও।
সরকার সূত্রে খবর, যেখানে উভয়েরই মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ মার্চে 0.77 শতাংশ ছিল এবং এপ্রিলে তা বেড়ে 1.38 শতাংশ হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা দাবী করছেন, গত কয়েক মাসে অপরিশোধিত তেল থেকে শুরু করে বিদ্যুতের দাম ভীষন ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।সাথে খাদ্যপণ্যের উৎপাদনের খরচ ও বেড়েছে, ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বাজারজাত সবজি অগ্নিমূল্য। তবে একটু হলেও স্বস্তি দিয়েছে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হ্রাস।স্বাভাবিক ভাবে পাইকারি বাজারে সাথে রিটেল বাজারের একটা যোগসাজোস তো থাকেই, পাইকারি বাজারে মুদ্রাস্ফীতির হার কমলেও রিটেল মার্কেটেও কিছুটা কম থাকে মুদ্রাস্ফীতি। তবে এবছর এক্ষেত্রে উল্টোটাই দেখা যাচ্ছে, আর এর অনেক কারণ ও রয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, আরো বাড়তে পারে সবজির মূল্য। আর এর সব থেকে বড় কারন হলো জলবায়ুর পরিবর্তন। আগের বার তাপমাত্রা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশিরভাগ খাদ্যদ্রব্য পচে নষ্ট হয়ে গেছিল, ফলে পচনশীল খাদ্য মূল্য হয়েছিল আকাশছোঁয়া। এবারও যে তার অন্যথা হবে না সেটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। ফলে তাপমাত্রা না কমলে এবং পর্যাপ্ত বর্ষা না হলে, আরো বাড়তে পারে বাজারজাত সবজির মুদ্রাস্ফীতি। যদিও এসবের মাঝে ডাল, গম ও দুধের দরে সামান্য পতন দেখা গিয়েছে।
Discussion about this post