নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা ভোটের আগে ভাঙন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনে। জোড়াফুল শিবির ছেড়ে ২৫০ জন কর্মী সমর্থক যোগ দিলেন আইএসএফে। মঙ্গলবার রাতে জঙ্গিপুরের মঙ্গলজোড়ে তৃণমূল কর্মীরা আইএসএফে যোগ দেন। জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের আইএসএফ প্রার্থী সাজাহান বিশ্বাসের হাত ধরে তাঁরা খাম শিবিরে যোগ দেন। নবাগত কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন প্রার্থী স্বয়ং। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোটের মুখে তৃণমূলের সংগঠনে ভাঙন যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে ভোটবাক্সে।
উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘু মুসলিমদেরকে ভোটের স্বার্থে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কখনও ইফতার পার্টি, কখনও ঈদের জামাতে যোগ দিয়ে বারবার চমক দেওয়ার চেষ্টা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম আমলে সাচার কমিটির রিপোর্ট চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিল রাজ্যের মুসলমানদের করুণ অবস্থা। কিন্তু ক্ষমতার পালাবদল হলেও রাজ্যের সংখ্যালঘুদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা খুব একটা পাল্টায়নি তৃণমূল জমানায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলের নেত্রী থাকাকালীন সময়ে সংখ্যালঘুদের জন্য নানান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যদিও পরে তিনি দাবি করেন সংখ্যালঘুদের জন্য ১০০ শতাংশ কাজ করা হয়ে গিয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জুজু দেখিয়ে সংখ্যালঘু ভোট টানতে অনেকটা সক্ষম হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ওই নির্বাচন থেকেই আইএসএফের উত্থান। আসন্ন লোকসভা ভোটেও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট রাজ্যের ৪২ আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে এককভাবে প্রার্থী দিয়েছে। যা জোড়াফুল শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের কপালে যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। সেই আবহে মুর্শিদাবাদের সুতিতে তৃণমূল ছেড়ে আইএসএফে যোগদান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ।
জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে খলিলুর রহমানকে। সম্প্রতি জোড়াফুল শিবিরের সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেন আইএসএফ প্রার্থী সাজাহান বিশ্বাস। পেশায় ব্যবসায়ী সাজাহান বিশ্বাস তৃণমূলের সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের দাদা। ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে তিনি ঠিক কী বলেছেন শুনে নেব। আগে কোনওদিন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি তিনি। ভোটের আগে আইএসএফে যোগ দিয়ে প্রার্থী হন সাজাহান। নির্বাচনের লড়াইয়ে তৃণমূলকে যে যথেষ্ট চাপে ফেলবেন তিনি, তা অমূলক নয়।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যদি সেনাপ্রধান কে রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা দেন, তবে কি তার বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এ প্রশ্নটা...
Read more
Discussion about this post