জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের হয়ে নির্বাচনী সভা থেকে নাম না করে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যাকে এখান থেকে জয়ী করে বিধানসভাতে পাঠালেন, তাকে এক সময় আমি রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এসে গ্রাম সভাতে বসিয়েছিলাম। সে কি করেছে? এই ডাবগ্রাম ফুলবাড়ীর জন্য কিছুই করেনি।‘ অন্যদিকে মমতার পালটা জবাব দিয়েছেন শিখা চট্টোপাধ্যায়ও।
জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায় সমর্থনে, ডাবগ্রাম ফুলবাড়ীর জাব্রাভিটা জুনিয়র স্কুলের মাঠে সভা করেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা মঞ্চ থেকে তিনি বলেন গত বিধানসভা নির্বাচনে এখান থেকে গৌতম দেব দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় আমি এসেছিলাম তখন ভিড়ে মাঠ উপচে পড়েছিল। পরবর্তী সময়ে দেখা গেল গৌতম দেব হেরে গেল। আপনারা যাকে এখান থেকে জয়ী করে বিধানসভা তে পাঠালেন তাকে এক সময় আমি রাস্তার থেকে তুলে নিয়ে এসে গ্রাম সভাতে বসিয়েছিলাম। সে কি করেছে এই ডাবগ্রাম ফুলবাড়ীর জন্য কিছুই করেনি। যা করেছি আমরা করেছি।
অপরদিকে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ীর বিধায়িকা শিখা চ্যাটার্জী জানান উনাকেও একসময় সুব্রত চট্টোপাধ্যায় তুলে নিয়ে এসে রাজনীতির মঞ্চে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রত্যেকেই কাউকে না কাউকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু আমি বলতে চাই উনি তো আমার মুখ দেখে আমাকে পদ দেননি আমার কাছ থেকে সেই সময় এই মিথ্যাবাদী মুখ্যমন্ত্রী আমাকে পদ দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের থাকাকালীন কাজ করতে গিয়ে আমি দেখতে পাই পুরো দলটি দুর্নীতিতে ভরা ডাবগ্রাম ফুলবাড়ী জুড়ে জমি মাফিয়া দের বার বারান্ত। সেই সময় আমি উনাকে সবার চিঠি লিখেছিলাম সেই সময়কে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। বিধায়ক তহবিলে আমরা মাত্র ৭০ লক্ষ টাকা পাই, সেই টাকা দিয়ে যা কাজ করা সম্ভব সমস্ত কাজই এলাকায় হয়েছে। আসলে মানুষ সব বুঝে গিয়েছে তাই সমস্ত জায়গাতে গিয়ে একই ধরনের ভাওতা দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী। আজ জাব্রাভিটার যেই মাঠে তিনি সভা করলেন সেই মাঠে হিন্দুদের চরক পুজো অনুষ্ঠিত হতো। তিনি সভা করবেন বলে সেই পুজো বন্ধ করে দিয়েছে। সেই অঞ্চলের মানুষ উনার উপর অত্যন্ত তীতি বিরক্ত হয়ে গিয়েছে। তাই এই সমস্ত কথা বলে আর কোন লাভ হবে না।
Discussion about this post