মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের প্রায় ৭৯টি আন্তর্জাতিক এবং ডোমেস্টিক বিমান বাতিল হয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক বিমান বাতিলের জেরে চরম ভোগান্তির মুখে পড়লেন অসংখ্য যাত্রী। ফলে যাত্রী বিক্ষোভের জেরে বিপাকে ভারতের এই বিমান পরিবহন সংস্থার কর্তারা। কিন্তু কেন এত বিমান বাতিল করতে হল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসকে? কারণ হিসেবে উঠে আসছে ওই বিমানসংস্থার কর্মীদের অসন্তোষ। জানা যাচ্ছে, ওই বিমান সংস্থার প্রায় ৩০০ কর্মী গণ ছুটির আবেদন করে তাঁদের মোবাইল ফোন সুইচড অফ করে রেখেছেন। তাই কর্মীর অভাবে বিমান বাতিল করতে হয়েছে।
সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়াকে অধিগ্রহন করেছে টাটা গোষ্ঠী। মূলত টাটা গোষ্ঠীর নতুন এমপ্লয়মেন্ট পলিসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের উচ্চপদস্থ কর্মীরা। সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, একেবারে শেষ মুহূর্তে আমাদের বিরাট সংখ্যক কেবিন ক্রু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে একসঙ্গে জরুরি ছুটির আবেদন করেছেন। পর্যাপ্ত কর্মী না পেয়ে কিছু সংখ্যক বিমান বাতিল করতে হয়েছে এবং কিছু বিমানের সময় বদল করতে হয়েছে। এর জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনাও করেছেন। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ আলাদা। তাঁদের দাবি, একের পর এক উড়ান শেষ মুহূর্তে বাতিল করেছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস।
বুধবার সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছেন। উড়ান বাতিল নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়ছে। রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন তাঁরা। অনেকের দাবি, বিমানবন্দরে পৌঁছে তাঁরা জানতে পেরেছেন বিমান বাতিল হয়েছে। তবে বিমান সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে, যে সমস্ত বিমান বাতিল হয়েছে তাঁদের সকলকেই টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। বা চাইলে নতুন উড়ানের ব্যবস্থা করা হবে।
Discussion about this post