সাবান থেকে শুরু করে ঘরের তালা, আসবাবপত্র থেকে শুরু করে ফ্রিজ। ১২৭ বছর ধরে যে সংস্থা ভারতের নাম উজ্জ্বল করে আসছে, ২০২৪ সালে এসে সেই সংস্থাই ভেঙে দু-টুকরো হয়ে গেল। কথা হচ্ছে গোদরেজ গ্রুপ নিয়ে। পরিবারের ভাঙন এখন একটা সামাজিক ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে। এবার তার ছায়া পড়ল গোদরেজ পরিবারের ওপরও। গোদরেজ পরিবার টুকরো হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবার ভাগাভাগি হয়ে গেল কোম্পানিও।
টাটা গোষ্ঠীর মতো গোদরেজ পরিবারও বিশ্বজুড়ে এক বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত ছিল বিগত ১২৭ বছর ধরে। গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং গোদরেজ এন্টারপ্রাইজ গ্রুপের বহু সংস্থা এতদিন একই ছাতার তলায় ছিল। ১৮৯৭ সালে আর্দেশির গোদরেজের হাত ধরে শুরু হওয়া ব্যবসার মালিকানা বর্তমানে তাঁর প্রপৌত্র আদি এবং নাদির গোদরেজ এবং জামশিদ ও স্মিতা গোদরেজের হাতে ছিল। এবার এই দুই খুড়তোতো ভাই-বোনের পরিবারের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গেল মূল সংস্থা।
আদি গোদরেজের বয়স এখন ৮২ বছর এবং নাদির গোদরেজের বয়স ৭৩ বছর অপরদিকে জামশিদের বয়স ৭৫ এবং স্মিতার বয়স ৭৪। জানা যাচ্ছে, গোদরেজ গ্রুপের শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত পাঁচটি সংস্থা গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ়, গোদরেজ় কনজ়িউমার প্রডাক্টস, গোদরেজ প্রপার্টিজ়, গোদরেজ অ্যাক্রোভেট এবং অ্যাজ়টেক লাইফসায়েন্সেস যাচ্ছে আদি এবং নাদিরের পরিবারের হাতে। অপরদিকে শেয়ারবাজারে নথিভুক্ত নয় এমন গোদরেজ এন্টারপ্রাইজ় গ্রুপের অধীনে থাকা অনেকগুলি ছোট ছোট সংস্থা থাকবে জামশিদ গোদরেজের হাতে। এরসঙ্গে মুম্বই শহরে সংস্থার হাতে থাকা প্রায় ৩৪০০ একর জমিও পাচ্ছে জামশিদ-স্মিতা গোদরেজ। সংস্থা জানিয়েছে, গোদরেজ পরিবারে পারস্পরিক সমঝোতা ও আলোচনার মাধ্যমেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতের রাজধানী দিল্লি। কেন্দ্রের অধীনে থাকলেও এখানে একটা বিধানসভা আছে। মোট আসন ৭০টি, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য দরকার ৩৬টি আসন। ৫...
Read more
Discussion about this post