জেলে থাকলেও এখনও তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এই অবস্থায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এক সচিবকে সরিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকারের ভিজিলেন্স বিভাগ। বিভব কুমার নামে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি পদমর্যাদার ওই অফিসার মুখ্যমন্ত্রীর অফিস বা সিএমও-র প্রধান ছিলেন। বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করতেন ওই আইএএস অফিসার। কেজরিওয়াল জেলে যাওয়ার পর তাঁর ওই অফিসারকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মদ বিক্রি নীতি সংক্রান্ত ফাইল তাঁর হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর টেবিলে পেশ করা হয়। ফাইলে মুখ্যমন্ত্রীর সচিব হিসাবে তাঁর নাম এবং মতামত নথিভুক্ত আছে।
সরকারি আধিকারিকদের চাকরির শর্ত, ভুল নীতি বা পদক্ষেপ চিহ্নিত করে সরকারকে সতর্ক করা। ইডি-সিবিআইয়ের অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিতে তৈরি মদনীতি নিয়ে ওই অফিসার আপত্তি তোলেননি। তাঁর সঙ্গেও ব্যবসায়ীদের বোঝাপড়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে না ইডি। প্রশাসনিক মহলের একাংশ মনে করছে, এবার ওই অফিসারকে গ্রেফতার করতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। আইএএস অফিসারদের গ্রেফতারের আগে বিভাগীয় অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন হয়। সেই প্রশাসনিক জটিলতা দূর করতেই বিভবকে সরিয়েছে ভিজিল্যান্স বিভাগ, যারা সরকারি কর্মী-অফিসারদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করে থাকে।
বিভবকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি ওই বিভাগকে তথ্য দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দিল্লি সরকারে অধীনে কর্মরত আধিকারিকদের বদলি, পদোন্নতি ইত্যাদির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারই এখন শেষ কথা। সুপ্রিম কোর্ট এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাজ্য সরকারের বলে রায় দিলে কেন্দ্র সংসদে বিল এনে পুরো ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়েছে। ফলে বিভবকে সরিয়ে দেওয়াতে আইনি জটিলতা কিছু নেই। তবে প্রশাসনিক সৌজন্য ভঙ্গ হয়েছে বলে একটি মহলের অভিমত। যদিও জেলে থাকায় কেজরিওয়ালকে এই ব্যাপারে আগাম অবহিত করার সুযোগ ছিল না।
Discussion about this post