রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস। ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে দেশ। বৃহস্পতিবার দিকে দিকে উঠবে ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা। দেশভক্তিমূলক গানে গমগম করবে চারিদিক। দেশবাসী মেতে উঠবেন অনন্দ-উৎসবে। অপরদিকে রাজধানী দিল্লিতেও সাজসাজ রব। দিল্লির ঐতিহ্যবাহী লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে দিল্লিকে। এবার নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে দিল্লি পুলিশ। আরও আধুনিক সাজসরঞ্জাম নিয়ে তৈরি হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী।
প্রতিবছরই স্বাধীনতা দিবসে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলি কোনও অন্তর্ঘাতের প্রচেষ্টা করে। তবে সজাগ থাকে আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী। এবারও প্রথর নজর রাখা হচ্ছে দিল্লি এবং আশেপাশের এলাকাগুলিতে। দিল্লিতে ঢোকার সব রাস্তাতেই চলছে নাকা চেকিং। পাশাপাশি ইন্দিরাগান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দিল্লির একাধিক রেলস্টেশন, আইএসবিটি বাসস্ট্যান্ড, শপিং মলগুলিতে আগেভাগেই নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্রপূর্ণ স্থানে আধা সামরিকবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রায় ৩০০০ ট্রাফিক পুলিশ স্বাধীনতা দিবসের দিন দিল্লির রাস্তায় থাকবেন। দিল্লির সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এবং লালকেল্লার আশেপাশের সমস্ত রাস্তায় বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। গোটা দিল্লির নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকছে ১০ হাজারের বেশি পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ান।
এবারের স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চলেছে দিল্লি পুলিশ। লালকেল্লা এবং আশেপাশের এলাকায় ৭০০টির বেশি এআই ভিত্তিক ফেসিয়াল রেকগনিশন হাই রোজিলিউশন ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এই ক্যামেরাগুলি বিশেষ সফটওয়ারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ক্যামেরাগুলি হাই রেজোলিউশনের প্যান, জুম এবং টিল্ট বৈশিষ্ট রয়েছে। ফলে অনেক দূর থেকেই সন্দেহভাজন কাউকে সনাক্ত করতে পারবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। পাশাপাশি স্মার্টফোন ভিত্তিক বিশেষ সফটওয়ারে পুলিশ আধিকারিকদের মোবাইলে বার্তা পৌঁছে দেবে। ফলে আগেভাগেই যে কোনও নাশকতা রুখে দেওয়া সম্ভব হবে।
Discussion about this post