এমন একটি যুদ্ধ বিমান, যা রাডারের রক্তচক্ষু এড়িয়ে এক্কেবারে শত্রু শিবিরের ভিতরে ঢুকে ধ্বংস করে আসবে। যা প্রবল বেগে আক্রমণ শানাবে, অথচ পাইলটের কোনও ক্ষতি হবে না। কারণ ওই যুদ্ধ বিমান হবে পাইলটবিহীন। এমনই এক ঘাতক যুদ্ধ বিমান তৈরি করছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। এই প্রকল্বের নাম ‘FUFA’। পুরো অর্থে বলতে গেলে ফিউচারিস্টিক আনম্যানড ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এই ধরণের যুদ্ধ বিমান ভারতের বায়ুসেনা হাতে পেলে কেঁপে উঠবে চিন বা পাকিস্তান।
ফুফা ভারতের অত্যন্ত গোপন একটি প্রতিরক্ষা প্রকল্প। ফলে এই প্রকল্প নিয়ে কোনও পক্ষই বিস্তারিত কিছু বলতে চায়নি। তবে ডিআরডিও জানিয়েছে, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সারা বিশ্বের সঙ্গে ভারতও এই ধরণের যুদ্ধ বিমান তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই বিমানের নকশা করছে ডিআরডিও-র অধীনে থাকা সংস্থা অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট। এছাড়া এই প্রকল্প রূপায়নে হাত লাগিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও। গোপন প্রকল্প হওয়ায় এখনও পুরোপুরি খোলসা করা হয়নি ফুফা সম্পর্কে। তবে এটুকু জানানো হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে ভারত স্টিলথ উইং ফ্লাইং বিষয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে চলেছে।
জানা যাচ্ছে, ফুফা চার ধরণের মিশন সম্পন্ন করতে পারে। প্রথমত, কৌশলগত আক্রমণ, দ্বিতীয়ত ক্লোজ এয়ার সাপোর্ট, তৃতীয়ত মিশাইল সাপোর্ট, চতুর্থত শত্রুর বিমান প্রতিরোধ এবং ধ্বংস করা। প্রায় ১৫০০ কেজি পে-লোড বহন করতে সক্ষম হবে চালকবিহীন যুদ্ধ বিমানটি। আর তেজস যুদ্ধ বিমানের থেকেও ছোট হবে বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ফুফা যুদ্ধবিমান ভারতের প্রতিরক্ষা বহরে যুক্ত হলে সেটা হবে যুগান্তকারী। কারণ এই ধরণের ঘাতক বিমান শত্রুর বাঙ্কার, অস্ত্র ভাণ্ডার, পাওয়ার প্লান্ট, বা বিমানঘাঁটিতে সরাসরি আক্রমণ চালাতে সক্ষম হবে।
Discussion about this post