পশ্চিমবঙ্গে বামেরা শুন্য হয়ে গেলেও পাশের রাজ্য বিহারে লাল ঝান্ডা উড্ডিন রাখল লিবারেশন। বিহারে মার কাটারি জয় নকশালপন্থী সংগঠন সিপিআই(এম-এল) লিবারেশনের। ৪০ আসনের বিহারে এবার জোট হয়েছিল ইন্ডিয়া জোটের। বিহারে মোট ৫টি কেন্দ্রে লড়েছিল বামেরা। সিপিআই এবং সিপিএম বিহারে মোট ২টি কেন্দ্রে লড়াই করেছিল। আর ৩ টি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিল দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের দল লিবারেশন। তিনটি আসনে লড়ে বিহারে দুটিতে জিতেছে লিবারেশন। কারাকাটে জয়ী হয়েছেন রাজারাম সিং এবং আরাতে জিতেছেন সুদামা প্রসাদ।
নালন্দা লোকসভা আসনে জয় হাসিল না করতে পারলেও দ্বিতীয় হয়েছেন মালের প্রার্থী ডঃ সন্দীপ সৌরভ। উল্লেখ্য বিহারের আগিয়াঁও বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও জয়ী হয়েছেন লিবারেশন প্রার্থী শিবপ্রকাশ রঞ্জন। লিবারেশন নেতৃত্বের অভিযোগ এই কেন্দ্রে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত মিথ্যার মামলায় তাদের বিধায়ক মনোজ মঞ্জিলকে জেলে পুরে তাঁর বিধায়ক পদ কেড়ে নেওয়া হয়।
কিন্তু তারপরও আগিআঁও কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জেতেন সিপিআইএমএল প্রার্থী শিবপ্রকাশ রঞ্জন। প্রসঙ্গত বিহারের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের শুধু কোডারমা আসনে প্রার্থী দিয়েছিল লিবারেশন। ইন্ডিয়া জোটের হয়ে সেখানে লড়ে দ্বিতীয় হন বগোদরের বিধায়ক বিনোদ সিং। ইতিহাস বলছে আইপিএফের ব্যানারে বিহারে ভোটে লড়ে ১৯৮৯ সালে প্রথম দিল্লিতে সাংসদ পাঠিয়েছিল প্রয়াত বিনোদ মিশ্রের দল লিবারেশন। ১৯৮৯ সালে আরা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন রামেশ্বর প্রসাদ। তারপর লিবারেশনের হয়ে অসমের কার্বি আলং থেকে ৩ বার জয়ী হয়েছিলেন জয়েন্ত রংপি। কিন্তু এর আগে কখনো একসঙ্গে দিল্লিতে ২ জন সাংসদ পাঠাতে পারেনি কোনও নকশালপন্থী সংগঠনই।
লোকসভা নির্বাচনের এই ফলাফলকে মোদির একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণরায় তথা গণতন্ত্র ও সংবিধানের জয় বলে বর্ণনা করেছেন সিপিআইএমএল লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক কমরেড দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। দীপঙ্করবাবু বলেন, উত্তরপ্রদেশে ইন্ডিয়া জোটের ফলাফল বিজেপির প্রতি সমুচিৎ জবাব, নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহকে প্রত্যাদখ্যা ন করেছেন জনগন। বিজেপির বিভাজনের নীতিকে পরাস্ত করেছে এই গণরায়। এই গণরায়কে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি গণতন্ত্র ও সংবিধানের জন্য তাদের লড়াই জারি থাকবে বলেও জানান দীপঙ্করবাবু।
Discussion about this post