২৭ শে জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের বৈঠক। বাজেট ঘোষণার পরেই কেন্দ্রের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের। বিরোধী জোটের অংশীদার এমকে স্ট্যালিনও বৈঠকে অংশ গ্রহণ করছেন না। তবে উল্টো পথেই হাঁটছেন মমতা।
অষ্টাদশ লোকসভা ভোট মিটে যাওয়ার পর যখন বিরোধী জোট ইণ্ডিয়া এককাট্টা হচ্ছে ঠিক সেই সময় বাংলা সহ জাতীয় রাজনীতিতে একটি ছবি ভেসে উঠেছিল। ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে বৈঠক সারার পাশাপাশি উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পাওয়ার, অখিলেশ যাদবের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে বৈঠক সেরেছিলেন বাংলার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনাকে অনেকেই জাতীয় রাজনীতিতে অভিষেকের উত্থান হিসেবে দেখেছিলেন। তবে সমালোচকরা বলেছিলেন অন্য কথা। জোটের মধ্যেই ঘোঁট পাকছে। সন্দিহান গন্ধ পেয়েছিলেন নিন্দুকরা। এবার আরও একটি ঘটনা। তবে অভিষেকের জায়গায় স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৭ শে জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের বৈঠক রয়েছে নয়া দিল্লিতে। বাজেট ঘোষণার পরেই বিরোধী জোট শাসিত রাজ্যগুলির প্রতি কেন্দ্রের বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে সেই বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই বাজেট যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী ও ভীষণভাবে বৈষম্যমূলক। দাবি উঠে এসেছে কংগ্রেস শিবির থেকে।
ভিও- বাজেট পেশের দিনই নিজের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। কংগ্রেসের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও এই বৈঠকে অংশগ্রহন করছেন না। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান ও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও নীতি আয়োগ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বুধবার সকালেই সংসদের বাইরে বিরোধী জোট ইন্ডিয়াকে কেন্দ্রীয় বাজেটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে। সেখানে উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল তৃণমূলেরও। সংসদে বাজেটের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখন প্রশ্ন বিরোধিতা সত্ত্বেও কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন। শোনা যাচ্ছে এখানেও রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। একজন সিনিয়র নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে বাজেট নিয়ে বিরোধী জোটের অসন্তোষের বিষয়টি তুলে ধরবেন। আর তার জন্যই এই বৈঠকে তাঁর উপস্থিতির সিদ্ধান্ত। অর্থাৎ জাতীয় স্তরে তৃণমূলের উপস্থিতি আরও উজ্জ্বল হতে চলেছে আগামীদিনে।
Discussion about this post