বিগত দুটি লোকসভায় বিজেপি একাই নিরঙ্কুষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। কিন্তু পাশা পাল্টে গিয়েছে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে। এবার বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে বহু দূরে থমকে গিয়েছে। ফলে সরকার গঠন করতে হচ্ছে এনডিএ জোটের শরিকদের ভরসায়। আর তাতেই নাভিশ্বাস অবস্থা নরেন্দ্র মোদির। মাঝে আর মাত্র একদিন, রবিবার সন্ধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু ইতিহাস গড়ার আগে যথেষ্ট চাপে তিনি। সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যায় মোদির সঙ্গে শপথ নিতে চলেছেন ১৮ জন মন্ত্রী। এর মধ্যে সাতজন পূর্ণমন্ত্রী। আর এই সাত পূর্ণ মন্ত্রীর মধ্যে মাত্র দুজন বিজেপির, বাকি পাঁচ শরিক দলের।
২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভায় বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। ফলে মন্ত্রিসভায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ দফতরই ছিল বিজেপির দখলে। শরিকদের কম গুরুত্বপূর্ণ দফতর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। এনডিএ জোটের সমস্ত শরিকদের নিয়েই মন্ত্রিসভা গঠন করতে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদিকে। এনডিএ-র দুই বড় শরিক, একদিকে চন্দ্রবাবু নাইডুর টেলেগু দেশম এবং অন্যদিকে নিতীশ কুমারের জেডিইউ। সূত্রের খবর, রবিবার পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন দুজন টেলেগু দেশম সাংসদ, দুজন জেডিইউ সাংসদ এবং শিবসেনা সাংসদ। পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে আরও দুজন বিজেপির সাংসদ থাকছেন। এগারোজন সাংসদ প্রতিমন্ত্রী অথবা স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন রবিবার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরোনো সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে শরিকদলগুলি এবং বিজেপির সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই মোদি এনডিএ এবং সংসদীয় দলনেতা নির্বাচিত হন। সেখানেই নতুন মন্ত্রিসভার একটা রূপরেখা তৈরি হয়েছে আলোচনার পর। সূত্রের খবর, জেডিইউ নেতা নিতীশ কুমার দুজন পূর্ণমন্ত্রী এবং দুজন প্রতিমন্ত্রী চেয়েছেন। নিতীশের দাবির মধ্যে রয়েছে রেল, গ্রামোন্নয়ন পরিবহনের মতো মন্ত্রক। চন্দ্রবাবুর টিডিপিও একাধিক মন্ত্রক দাবি করেছেন। ফলে নতুন মন্ত্রিসভায় দফতর বন্টন নিয়ে চাপে নরেন্দ্র মোদি।
Discussion about this post