উধমপুর,-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল লিঙ্ক প্রকল্প শীঘ্রই বাস্তবায়িত হতে চলেছে। যা কেবলমাত্র সাধারণ যাত্রীদের জন্য নয়, পর্যটকদের জন্যও এটা অত্যন্ত সুখবর। এখন প্রশ্ন হল এই প্রকল্পের গুরুত্ব কোথায়? কেনই বা এটা সুখবর। আরও একটি সুখবর রয়েছে রেলযাত্রীদের জন্য। সেটা হল এই পথেই চলবে দেশের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ভার্সন ট্রেন। ফলে একেবারে জোড়া সুখবর হতে চলেছে এই প্রতিবেদনটি। উধমপুর,-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল লিঙ্ক প্রকল্প কাশ্মীর উপত্যকাকে সরাসরি যুক্ত করবে ভারতের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে। অর্থাৎ আর মাত্র কিছু দিনের অপেক্ষা, এরপরই ট্রেনে চেপে বিশ্বের উচ্চতম রেলব্রিজের উপর দিয়ে সোজাসুজি পৌঁছে যাওয়া যাবে কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর, অর্থাৎ সরাসরি ভূস্বর্গে। তাও আবার এক্কেবারে নতুন বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনে চড়ে! হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন, দেশের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনটি যাবে কাশ্মীর উপত্যকায়। রেল মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই রেলপথ এবং প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার উদ্বোধন করবেন আগামী ২৬ জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন। কি জোড়া সুখবর হল তো?
বিভিন্ন সর্ব ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী দেশের বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনটি উদ্বোধন করবেন। যেটি শ্রীনগর থেকে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি যাবে। ওই দিনই তিনি কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে দেশের অন্যান্য প্রান্তের রেল যোগাযোগের উদ্বোধনও করবেন। বর্তমানে শ্রীনগর থেকে সঙ্গলদান পর্যন্ত ট্রেন চলে। অপরদিকে জম্মুর মাতা বৈষ্ণদেবী কাটরা স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বহুদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে। এবার জম্মু তাওয়াই থেকে বিশ্বের উচ্চত্তম চেনাব রেলব্রিজ হয়ে ট্রেন চালু হবে সঙ্গলদান পর্যন্ত। ফলে এবার রেলপথে জুড়ে যাবে জম্মু ও কাশ্মীর।
রেল সূত্রে খবর, নয়াদিল্লি থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনটি প্রায় ৮০০ কিলোমিটার যাত্রা করবে। নতুন বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনে ১১টি এসি থ্রি-টায়ার কোচ, চারটি এসি টু-টায়ার কোচ এবং একটি ফার্স্ট এসি কোচ থাকবে। অনুমান করা হচ্ছে, নতুন দিল্লি এবং শ্রীনগরের মধ্যে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনসেটে টিকিটের মূল্য থ্রি-এসি বার্থের জন্য প্রায় দুই হাজার টাকা, টু-এসি বার্থের জন্য আড়াই হাজার টাকা এবং ফার্স্ট এসি কোচের জন্য টিকিটের দাম কমবেশি তিন হাজার টাকা হতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে। ফলে অপেক্ষার মাত্র কয়েকদিন, এরপর দিল্লি থেকে ট্রেনের আরামে শুয়ে-বসেই পৌঁছে যাবেন শ্রীনগর।
Discussion about this post