কেরলের ওয়েনাড়ে বন্য ও ভূমিধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৫১। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। কত জন আটকে রয়েছেন, কত জন নিখোঁজ তা এখনও স্পষ্ট নয়। তার মধ্যেই আরও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় মৌসম ভবন। ফলে উদ্ধারকাজে এই বৃষ্টি বাধা হতে পারে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এখনই ওয়েনাড়, সফর বাতিল করলেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওয়েনাড় এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। সেই সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ে হাওয়া বইতে পারে ওয়েনাড়ের উপর দিয়ে। কোথাও কোথাও সেই হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।
কেরলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ওয়েনাড়ের মেপ্পাড়ি এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৬১ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দুর্যোগ এবং ভারী বৃষ্টির সতর্কতার কারণে কেরলের বিভিন্ন জেলায় বুধবার বন্ধ থাকবে সব স্কুল, কলেজ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বৃহস্পতিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে বলে সরকারি সূত্রে খবর। অন্যদিকে, ধসের কারণে রাস্তাঘাটের অবস্থা শোচনীয়। বেশির ভাগ জায়গায় রাস্তা ধসে গিয়েছে। ফলে পুলিশ, প্রশাসন, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হচ্ছে। ভারতীয় সেনার হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে উদ্ধারের কাজে।
ভারী বৃষ্টি এবং প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ধসে বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে বুধবার যাওয়ার কথা ছিল লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা ওয়েনাড়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরও। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এখনই ওয়েনাড় যেতে পারছেন না রাহুল-প্রিয়ঙ্কা। এক্স হ্যান্ডলে রাহুল জানিয়েছেন, বুধবার প্রিয়ঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়েনাড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সেখানকার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে যাওয়া হচ্ছে না তাঁদের। বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবওয়ার কারণে সেখানে অবতরণ করতে পারবে না হেলিকপ্টার। তবে তিনি যে সবসময় পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন রাহুল।
Discussion about this post