অসংগঠিত শ্রেণির শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্যেশ্যে একাধিক প্রকল্প রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। এর মধ্যে ই-শ্রম কার্ড অন্যতম। এই প্রকল্পের আওতায় অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা বিভিন্ন ধরণের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। যেমন প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা পেনশন। আপনি যদি কোনও অসংগঠিত শ্রেণির শ্রমিক হন তবে আপনি সহজেই ই-শ্রম কার্ড বানাতে পারেন। ১৬-৫৯ বছর বয়সী শ্রমিকরা এই কার্ডের সুবিধা পাবেন। মূলত যারা কোনও কারখানা বা ছোটখাটো সংস্থায় কাজ করেন না, ফুটপাতের বিক্রেতা, রাজমিস্তি, গৃহকর্মী, নৈমিত্তিক শ্রমিক ইত্যাদি। এক কথায় যাদের আইনি সুরক্ষা, কর্মসংস্থান চুক্তি ও সামাজিক নিরাপত্তা থাকে না তাঁদের অসংগঠিত শ্রমিক বলা হয়।
ই-শ্রম প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের সমস্ত অসংগঠিত শ্রমিকদের তথ্য একত্র করার চেষ্টা করছে। যাতে তাঁরা বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন। তাই আপনি যদি অসংগঠিত শ্রেণির শ্রমিক হন তবে স্থানীয় ইন্টারনেট ক্যাফে থেকে নিজের নাম ই-শ্রম পোর্টালে নথিভূক্ত করতে পারেন সহজেই। ই-শ্রম পোর্টালে নাম নথিভূক্ত হলেই আপনাকে দেওয়া হবে ই-শ্রম কার্ড। যার মাধ্যমে আপনি স্বাস্থ্যবিমা, জীবনবিমা এবং অবসরকালে পেনশনের সুবিধা পাবেন।
ই-শ্রম কার্ডের মাধ্যমে আপনার বয়স ৬০ হলেই প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা পেনশন পাবেন। এছাড়া কোনও শ্রমিক যদি আংশিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হন তবে তিনি এককালীন এক লক্ষ টাকা অনুদান পাবেন। আর কোনও কারণে তাঁর মৃত্যু ঘটলে তাঁর পরিবার জীবনবিমা মারফৎ এককালীন দুই লক্ষ টাকা পাবেন।
কিভাবে আবেদন করবেন?
ই-শ্রম কার্ডের জন্য অনলাইনেই আবেদন করতে হয়। ই-শ্রম পোর্টালে ঢুকে আধার লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর এবং ক্যাপচা কোড দিতে হবে। এরপর মোবাইলে আসা ওটিপি দিয়ে নথিভূক্ত করতে হবে। এবার কম্পিউটার স্ক্রিনে প্রদর্শিত ব্যক্তিগত বিবরণ পুরণ করুন। যেমন নাম, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত দক্ষতা বা ব্যবসার নাম, কাজের ধরণ ইত্যাদি। এরপর আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ পুরণ করে স্বঘোষণাতে ক্লিক করুন। শেষে জমা বোতামে ক্লিক করলে আপনার মোবাইলে আবার ওটিপি আসবে। সেটি নিশ্চিত করলেই আপনার ই-শ্রম কার্ড তৈরি হয়ে যাবে। শেষে ওই কার্ড ডাউনলোড করে নিজের কাছে রেখে দিন।
Discussion about this post