আজ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী। তাই আজকের দিনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অজানা কাহিনী ফিরে আসছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাহিত্য, গান, চিত্রকলা, দর্শন, সমাজতত্ত্বের মতো অসংখ্য বিষয়ে চর্চা করলেও রবি ঠাকুর কিন্তু খেলাধুলা ও শরীরচর্চার ওপরেও জোর দিতেন। তিনি ফুটবল খেলাকেও খুব ভালোবাসতেন এবং ফুটবলের প্রতি ছিল অগাধ জ্ঞান। নিজে নিয়মিত ফুটবল খেলতেন এবং তাঁর নিজস্ব একটি ফুটবল দলও ছিল। তবে বাংলার দুই শতবর্ষ প্রাচীন ফুটবল ক্লাব ইস্টবেঙ্গল নাকি মোহনবাগানের সমর্থক ছিলেন তা নিয়ে কিন্তু খুব কম চর্চা হয়। তিনি কোন ক্লাবকে ভালোবাসতেন তা জেনে কিন্তু খুশিতে ডগমগ হয়ে পড়বেন লাল-হলুদের সভ্য সমর্থকরা।
বুধবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি গল্প প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন্ের এক অজানা কাহিনী। এমনকি সেই সময় তিনি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্য ফুটবলার রিক্রুটও করেছেন। স্বাধীনতার আগে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কিংবদন্তি ফুটবলার ছিলেন সূর্য চক্রবর্তী। একটানা ১০ বছর তিনি ইস্টবেঙ্গলে চুটিয়ে খেলেছেন। ১৯২৭ সাল থেকে তিনি লাল হলুদের অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। এদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ফেসবুক পেজে রবীন্দ্রনাথ এবং সূর্য চক্রবর্তীর চিত্রাঙ্কন প্রকাশ করে জানিয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই তাঁকে ইস্টবেঙ্গলে খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ওই ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকার বিক্রমপুরের কাইচল গ্রামের ফুটবলারকে ঠাকুরবাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। পরে দুখিরাম মজুমদারের ফুটবল ক্লাসেও যোগদান করান। ১৯২৫ সালে সূর্য চক্রবর্তী রবীন্দ্রনাথের নির্দেশেই লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন। পাশাপাশি ১৯৪৫ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অধিনায়ক ছিলেন পরিতোষ চক্রবর্তী। এই বিখ্যাত ডিফেন্ডারের লাল হলুদ জার্সি গায়ে চাপানোর নেপথ্যেও ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
Discussion about this post