প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে মনের জোরে UPSE অর্থাৎ ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নজির গড়লেন তরুণী। হিমাচল প্রদেশের উপত্যকা অঞ্চলের একটি ছোট্ট গ্রাম মান্ডি। সেখানেই বাবা মায়ের সঙ্গে বাস করেন তরুণা কমল। বাবা পেশায় সাফাই কর্মী, মা গৃহিনী। ছেলেবেলা থেকে তরুণা পড়াশোনা শুরু করে মর্ডান পাবলিক স্কুল থেকে। দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত এই বিদ্যালয় পড়াশোনা করে সে। উচ্চ মাধ্যমিকের পরেই তরুণা সিদ্ধান্ত নেয়, ভেটেনারি চিকিৎসক হবেন। সেই মতো পড়াশোনার সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিতেও শুরু করে সে। এরই মাঝে তরুণা সিদ্ধান্ত নেয়, ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় বসবে। কিন্তু প্রথমে এই কাজ খুব একটা সহজ হয়নি মেধাবি তরুণার কাছে। তবুও অদম্য মনের জোরে হাজারও প্রতিবদ্ধকতাকে উপেক্ষা করে আগামীদিনে UPSE অফিসার হবেন, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে চণ্ডীগড়ে UPSE-র পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে সে। এরপর পরীক্ষায় বসে তরুণী। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে UPSE-র রেজাল্ট। সেখানে ২০৩ নম্বর স্থান অধিকার করেছেন তরুণা।
এ বিষয় কৃতি ছাত্রী জানিয়েছে, এই গ্রামের মেয়েরা বাইরে বের হতে ভয় পায়। সেখানে দাঁড়িয়ে উপত্যাকা অঞ্চলের এই প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে পড়াশোনা করে লক্ষে পৌঁছানোর পথটা এতটা সহজ ছিল না। জীবনের বড় পরীক্ষায় বসতে তরুণাকে সমর্থন করেছিলেন একমাত্র তাঁর বাবা-মা। তাই তরুণী চান, আগামীদিনে মেয়েদের জন্য এমন কিছু করার, যাতে গ্রামের সকল মেয়ের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে। UPSE পরীক্ষায় মেয়ের এই চূড়ান্ত সাফল্যে খুশি পরিবারের আত্মীয় পরিজনরা। ।
কথায় আছে ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। এবার সেই প্রবাদবাক্য মেনেই ভারতীয় রেলের সহযোগী সংস্থা আইআরসিটিসি বাংলার অন্যতম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মেনুতে নিয়ে...
Read more
Discussion about this post