আমরা হয়তো রূপকথার গল্পে অনেকেই শুনেছি স্বর্গ বা নরকের দ্বারের কথা। তবে স্বর্গ না নরক বলতে পারবো না, কিন্তু জানেন কি, এই পৃথিবীতেই রয়েছে এমন কিছু জায়গা , যেখানে প্রকৃতির রূপ এতটাই ভয়ঙ্কর যে ভুলেও এই স্থানে একবার পা রাখা মাত্রই সব শেষ। ফিরে আসে না কেউই! অবাক লাগছে তো ? আজ আপনাদের জানাব এমনই একটি গুহার কথা, যা শুনলে হাড় হিম হবে আপনার। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে এটি একটি সামান্য ফাটল মাত্র। ৬ ফুট গভীরতা বিশিষ্ট এই গুহার নাম কুয়েভা দে লা মুয়ের্ত। ইংরাজীতে অনুবাদ করলে দাঁড়ায় দ্যা কেভ অফ ডেথ অর্থাৎ মৃত্যুর গুহা। সতর্ক বলতে কেবলই গুহার বাইরে পোস্টারে লেখা ‘ডেঞ্জার ! নো ট্রেস পাসিং বিয়ন্ড দিজ পয়েন্ট’। অর্থাৎ এই স্থানের পর আর এগোনো যাবে না। কিন্তু কেন?
গবেষকরা বলছেন, ৬ ফুট গভীর ও ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই ফাটলটি অত্যন্ত শীতল। পাশাপাশি এই গুহাটিতে কার্বন-ডাই –অক্সাইডের পরিমাণ প্রচুর। গুহাটি দেখতে ছোট হলেও প্রতি ঘন্টায় এই গুহা থেকে ৩০ কেজি গ্যাস বের হয় বলে অনুমান করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ক্ষণিকের মধ্যেই এই সামান্য ফাটলটি প্রাণ কেড়ে নিতে সক্ষম। মানুষ তো দূর, এই গুহায় সামান্য কীট পতঙ্গ গেলে প্রকৃতি তাকেও ছাড়ে না। কিন্তু আছে এই ফাটলে ? কোথায় আছে এমন গুহা ? ভয়ঙ্কর এই গুহাটি রয়েছে উত্তর- মধ্য আমেরিকার আলাজুয়েলা প্রদেশে। এই প্রদেশের কোস্টারিকার রুক্ষ আগ্নেয়গিরির ভূখণ্ডে রয়েছে এই গুহা।
সালটা ছিল ২০২২, এক ইউটিউবার দাবি করেছিলেন, এই গুহা থেকে প্রতি ঘন্টায় প্রায় কয়েক কেজি কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়। অল্প জারগার মধ্যে এই বিপুল পরিমাণে CO2 গ্যাস থাকার ফলে, গুহার মধ্যে যেতে না যেতেই মৃত্যু ঘটছে সহজেই। সেই সঙ্গে সেই ইউটিউবার জ্বলন্ত আগুনের মশাল নিয়ে গুহার সামনে আসতেই ক্ষণিকের মধ্যেই জলন্ত মশাল নিভে যায়। তবে যদি কখনও ভেবেও থাকেন, দেশের বাইরে জঙ্গলগুলিকে চাক্ষুস করার সঙ্গে এই অজানা গুহাকেও দেখে আসবেন। তাই বলি, ভুলেও এ কাজ করবেন না।
৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েই নিজের প্রতিশ্রুতিগুলি রাখলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু করলেন এক নতুন অধ্যায়। দায়িত্ব পাওয়ার...
Read more