লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট কাটা হোক বা ট্রেনের টাইমটেবল দেখা। ট্রেনের ভিতর খাবারের অর্ডার দেওয়া হোক বা ট্রেনের রিয়েলটাইম স্টেটাস দেখা। এই সবের জন্য এতদিন আলাদা আলাদা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতে হত যাত্রীদের। এবার সেই সমস্যা থাকবে না। কারণ ভারতীয় রেল শীঘ্রই নিয়ে আসছে এক সুপার অ্যাপ। যাতে ট্রেন সংক্রান্ত সমস্ত পরিষেবা একত্রেই পাওয়া যাবে।
ট্রেনের টিকিট বুকিং, প্ল্যাটফর্ম টিকিট, খাবার অর্ডার থেকে ট্রেনের রিয়েল টাইম স্ট্যাটাস দেখা, সমস্ত কিছুই এবার পাওয়া যাবে রেলের নতুন অ্যাপে। সর্বভারতীয় সংবাদপত্র ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর মাসেই এই নতুন সুপার অ্যাপ চালু করতে চলেছে ভারতীয় রেল। ওই প্রতিবেদনে রেলের এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন বা ক্রিস এই নতুন অ্যাপটি তৈরি করছে। যা পরিচালিত হবে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশনের অধীনে। পুরো বিষয়টি ভারতীয় রেলের নজরদারিতেই চলবে। রেলের ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক দাবি করেছেন, নতুন অ্যাপটি ক্রিস, আইআরসিটিসি এবং রেলযাত্রীদের মধ্যে সংযোগরক্ষা করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি এই সুপার অ্যাপ চালু হয়ে গেলে রেলের সমস্ত পরিষেবা এক ছাতার তলায় চলে আসবে।
বর্তমানে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট কাটা, বাতিল করা বা আপডেট করার জন্য রয়েছে ‘আইআরসিটিসি রেল কানেক্ট অ্যাপ। পাশাপাশি চলন্ত ট্রেনে খাবার অর্ডার করার জন্য রয়েছে আইআরসিটিসি-র ‘ফুড অন ট্র্যাক’ নামে একটি অ্যাপ। আবার লোকাল বা স্বল্প দূরত্বের ট্রেনের টিকিট কাটা, মাসিক টিকিটের জন্য রয়েছে ইউটিএস মোবাইল অ্যাপ। এছাড়া রেল সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ জানানোর জন্য রেল মদত অ্যাপও রয়েছে। আবার ট্রেনের রানিং স্ট্যাটাস জানার জন্য রয়েছে ‘ন্যাশনাল ট্রেন এনকোয়ারি সিস্টেম’ মোবাইল অ্যাপ। যার ফলে ট্রেন যাত্রা সুগম করতে যাত্রীদের বিভিন্ন অ্যাপ ডাউনলোড করতে হতো। যা সময়সাপেক্ষ এবং বিভ্রান্তিকর ছিল। এবার সেই সমস্যা মিটতে চলেছে। পাশাপাশি রেলের আয়ও বাড়বে বলে মনে করছেন রেল বোর্ডের কর্তারা।
সূত্রের খবর, ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষে আইআরসিটিসি-র রেভিনিউ ছিল ৪ হাজার ২৭০ কোটি টাকা। নেট প্রফিট ১ হাজার ১১১ কোটি টাকা। এই রোজগারের ৩০.৩৩ শতাংশই এসেছে টিকিট বুকিংয়ের মাধ্যমে। এই হিসেব দূরপাল্লার ট্রেনের। ইউটিএস অ্যাপের মাধ্যমে লোকাল ট্রেনের টিকিটের হিসেব নেই। নতুন সুপার অ্যাপ চলে এলে রেলের সবদিকের আয়ই অনেকটা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করছেন রেলকর্তারা।
Discussion about this post